মোঃ লিটন হোসেন ঝিনাইদহ জেলা প্রতিনিধিঃ
ঝিনাইদহ জেলার হরিনাকুন্ডু উপজেলা শৈলকুপার ৭ নং রঘুনাথপুর ইউনিয়নের নিত্যানন্দপুর গ্রাম একটি গুরুত্বপূর্ণ এলাকায়। কাবিটা প্রকল্পের আওতায় না থাকায় আনুমানিক ৪১৫ মিটার একটি রাস্তা নির্মাণকাজ চলছে তবে কাজ শুরুর পর থেকেই স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে অসন্তোষ ও উদ্বেগ বাড়ছে। কারণ হিসেবে তারা অভিযোগ করছেন, নির্মাণকাজে ব্যবহার করা হচ্ছে ভাঙাচোরা, নিম্নমানের ইট ও ধূলিযুক্ত বালি।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, নির্মাণ সাইটে স্তূপ করে রাখা হয়েছে দুর্বল ও অপ্রশিক্ষিতভাবে প্রস্তুতকৃত ইট, যেগুলোর গায়ে ইত্যাদি ছাপ থাকলেও অধিকাংশই ভাঙাচোরা ও সহজেই ক্ষয়প্রাপ্ত। পাশাপাশি ব্যবহৃত হচ্ছে ধূলিমাখা নিম্নমানের বালি, যা ভবিষ্যতে রাস্তার স্থায়িত্বে বড় প্রশ্নচিহ্ন সৃষ্টি করছে। স্থানীয় বাসিন্দা জাহাঙ্গীর বলেন ১ নম্বর নই ২ নম্বর নই এটাই হল ৩ নং ইট। পোড়ামাটি দিয়ে রাস্তা তৈরি হচ্ছে, এই ইট দিয়ে দাঁত মাজা যাবে! ময়লা নিম্নমানের ইট দিয়ে রাস্তা করছে, এই রাস্তা করার চেয়ে না করাই ভালো।”
স্হানীয় আরও একজন বলেন, “সরকারি অর্থে যখন নির্মাণ হয়, তখন অন্তত ভালো মানের উপকরণ ব্যবহৃত হওয়া উচিত। কিন্তু এখানে যে ইটগুলো ব্যবহার করা হচ্ছে, সেগুলো ঘর বানানোরও উপযোগী নয়। রাস্তা বা অন্য স্থাপনায় ব্যবহার হলে খুব দ্রুত নষ্ট হয়ে যাবে।”
এলাকাবাসীর অভিযোগ, সংশ্লিষ্ট প্রকল্প কর্মকর্তাদের তদারকির অভাবেই এমন অনিয়ম হচ্ছে। উপকরণের মান যাচাই না করেই সরবরাহ ও কাজ শুরু হয়েছে। আশ্চর্যের বিষয়, প্রকল্পস্থলে কোনো সাইনবোর্ড বা প্রকল্পের বিবরণ নেই। ফলে জনগণ জানতে পারছে না কাজের ধরন, বরাদ্দ অর্থ কিংবা ঠিকাদারের পরিচয়।
স্থানীয় ৫ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য রবিউল বলেন, “৪০০ মিটারের কাজ হচ্ছে তা নিশ্চিত বলতে পারবো না, তবে হয়তো ৪১৫মিটারের মতো। এলাকাবাসীর অভিযোগের ভিত্তিতে নিম্নমানের ইট। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের নাম জানা না থাকলেও কাজ করছেন ৭নং রঘুনাথপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোঃ বছির উদ্দিন ও বিএনপির সাধারণ সম্পাদক তায়জাল হোসেনের নাম প্রকাশ করা হয়।
এদিকে এলাকাবাসীর দাবি, দ্রুত প্রকল্প পর্যালোচনার জন্য তদন্ত কমিটি গঠন করে নির্মাণ উপকরণের মান যাচাই করা হোক। একই সঙ্গে প্রকল্পের সকল তথ্য প্রকাশ করে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করাও সময়ের দাবি।
স্থানীয় বাসিন্দা নাম প্রকাশ করা বলেন, “জনগণের করের টাকায় পরিচালিত উন্নয়ন প্রকল্পে যদি নিম্নমানের উপকরণ ব্যবহার হয়, তবে তা একদিকে যেমন দুর্নীতির ইঙ্গিত দেয়, অন্যদিকে সাধারণ মানুষের নিরাপত্তাও হুমকির মুখে পড়ে। প্রশাসনের দ্রুত হস্তক্ষেপই কেবল এই অনিয়ম বন্ধ করতে পারে।”
এবিষয়ে বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মোঃ তায়জাল হোসেনের সাথে মোবাইল নম্বর ফোন দিলেই তিনি বলেন এই রোডটা ইউনিয়ন পরিষদ কাঁদা পানি খুব খারাপ অবস্থা মানুষের যাতায়াত করা খুব কঠিন বিছিন্ন অবস্হা।তিনি বছির চেয়ারম্যান ও ইউএনও স্যারকে বললাম অন্য জায়গা রোড থাকলে কেটেকুটে গ্রামে মানুষ অভিযোগ এই রোডটা করে দিতে হবে তিনি বলেন চেয়ারম্যানকে জানান।
হরিনাকুন্ডু উপজেলা প্রকল্প অফিসার সাথে মোবাইল ফোন কয়েকবার চেষ্টা করলে ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়
আরও পড়ুনঃ বান্দরবান সীমান্তে মাইন বিস্ফোরণে উপজাতি নারীর লাকি সিং পা বিচ্ছিন্ন
উপদেষ্টা:
প্রকাশক: মোছাঃ খাদিজা আক্তার
বিথী
সম্পাদক: আফজাল শরীফ
নির্বাহী সম্পাদক: মোঃ হারুন-অর-রশিদ
বার্তা সম্পাদক: মোঃ আমিনুল ইসলাম বাহার
সহকারী বার্তা সম্পাদক: মুহাম্মাদ লিটন ইসলাম
বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়:
বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক সংলগ্ন জব্বারগঞ্জ বাজার,
বকশীগঞ্জ, জামালপুর
Copyright © 2025 দশানী ২৪. All rights reserved.