শার্সা প্রতিনিধি : ১জন মনে ব্যাপক ভীতি সঞ্চার করে শার্সা কন্দপপুরে আবারো বহিস্কৃত বিএনপির সন্ত্রাসীরা নিয়মিত ব্যাপক বোমা হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। একই সাথে এসব দুষ্কৃতিকারী চাঁদাবাজি, লুটপাট, ঘের লুট, ফসল নষ্টের অপকর্মে জড়িত।
বৃহস্পতি ও শুক্রবার রাত ১০ টার পর প্রায় জনা ত্রিশেক সন্ত্রাসী আসাদুল ও মহিদুলের নেতৃত্বে একজোট হয়ে শতাধিক বোমা হামলা চালায়। পুলিশ ঘটনা স্থল থেকে বোমার আলামত সংগ্রহ করেছে। এসব অন্যায় অপকর্ম ঘটনা যশোরের শার্সা উপজেলার নিজামপুর পার্শবর্তী কন্দপপুরে ঘটছে।
প্রতি রাতে ১০ টার পর হঠাৎ করেই কোন কারণ ছাড়াই মহড়া দেয় আসাদুল -মহিদুল (তোতা ) বাহিনী। এসময় জনমনে ভীতি ছড়াতে সন্ত্রাসীরা পর পর বোমা হামলা করে। প্রাণ ভয়ে মানুষ এ সময় দিক বিদিক দৌঁড়াতে শুরু করে। মহিদুল ইসলাম তোতাকে এ যাত্রায় দ্বিতীয় দফা পুলিশ আটক করে কারাগারে পাঠিয়েছে।
এর পরও সেখানে থেমে নেই অপকর্ম।
প্রতিদিন কয়েকজন বিএনপি যুবদল নেতা কর্মীর নাম ধরে খিস্তি খেউর করে বহিস্কৃত বিএনপির এসব সন্ত্রাসীরা। বাজারে আধা ঘন্টা এক ঘন্টা অপেক্ষার পর তারা চলে যায়। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, বোমা হামলাকারীদের হাতে শর্টগান, পিস্তল, গাছি দা, রাম দা, হাসুয়া, হকিস্টিক, লাঠি থাকে।
রিজাউল সর্দার ছানার দুই ছেলে আসাদুল ও মহিদুল ইসলাম তোতা ছাড়াও সিদ্দিকের ছেলে শাহীন, মৃত বজলুর ছেলে শরিফুল ইসলাম, হাফিজুর মোল্লার ছেলে আবুজার, ছাড়াও মুখ বাঁধা কয়েক জন নিয়মিত থাকে। এসব সন্ত্রাসীর সংখ্যা প্রায় ৪০ জন।
এই বাহিনীর উল্লেখ যোগ্য আরো সন্ত্রাসী হচ্ছে এনায়েত মোল্লা র ছেলে সোয়েব (২২), আলম মোল্লা র ছেলে আল আমিন (২৩), আমিরুল ইসলাম আয়নুলের ছেলে মনি।
জানা গেছে এই চক্রটি কিছুদিন পূর্বে এলাকার ইলেকট্রিক মিস্ত্রী হাসেম ধরে এনে গাছে বেঁধে অমানুসিক নির্যাতন করে হত্যার অপ চেস্টা চালায়। মৃত নূর মোহাম্মদের ছেলে হাসেম বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
তারও আগে ঐ সন্ত্রাসীরা ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি কামরুল ইসলামের বাড়ি সীমা হীন তান্ডব চালিয়ে লুটতরাজ, ভাঙচুর, অগ্নি সংযোগ করে চার শতাধিক কেজি ওজনের মুরগী পুড়িয়ে দিয়েছিল। সেই অপরাধের পর ভুক্তভুগি মামলা করায় তার দুই ছেলে কে হত্যার কয়েকটি মিশন চালায়। এ ছাড়াও আরো কযেকজন কে বাড়ি থেকে উঠিয়ে নিয়ে বেজায় নির্যাতন করেছে।
উল্লেখিত অভিযুক্তরা এলাকায় চুরি, ছিনতাই, বাড়িঘর ভাঙচুর, মালামাল লুট, মারামারি, ঘেরের মাছ লুটে সম্প্রীক্ত। এসব অভিযোগের ভিত্তিতে বিএন পি তাদের দল থেকে বহিস্কার করেছে। এতে আরো ক্ষিপ্ত হয়ে তারা এলাকায় জনপদ, বাজার ও শান্তিকামি বিএনপির নেতা কর্মীদের ক্ষয়ক্ষতি করতে ব্যাপক অপ তৎপরতা চালাচ্ছে।
অভিযোগ রয়েছে, হররোজ সমাজ বিরোধী কর্মকাণ্ডে লিপ্ত এবং এলাকায় প্রকাশ্যে থাকার পরেও পুলিশ তাদের আটকে কোন ভূমিকা রাখছে না। এরা প্রতিদিন কোন না কোন বাড়ি ভাঙচুর করছে।
কন্দপপুর, আশপাশ এলাকার সাধারণ মানুষ ও বাজারের ব্যাবসায়ীরা অভিযুক্তদের আটক করে দৃষ্টান্ত মুলক শাস্তির আওতায় আনতে পুলিশ সুপারের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
আরও খবর: নবীগঞ্জে ভালোবেসে বিয়ের ৪ মাসের মাথায় যুবকের আত্মহত্যা
Leave a Reply