তানিম আহমেদ, নালিতাবাড়ী (শেরপুর) প্রতিনিধি: শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলার বিভিন্ন আশ্রয়ণ প্রকল্পে নির্মিত সরকারি ঘরগুলো বছরের পর বছর তালাবদ্ধ অবস্থায় পড়ে থাকায় প্রকল্পের কার্যকারিতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
বিশেষ করে উপজেলার সীমান্তঘেঁষা ভোগাইপাড় আশ্রয়ণ প্রকল্পে গিয়ে দেখা গেছে, ৭০টি ঘরের মধ্যে প্রায় ৪০টিতেই তালা ঝুলছে। অনেক ঘরের উপকারভোগীদের খোঁজ মেলেনি। স্থানীয়দের অভিযোগ, ঘর বরাদ্দের পর বেশিরভাগ পরিবার ঢাকাসহ অন্য শহরে চলে গেছে কর্মসংস্থানের খোঁজে। কেউ কেউ আবার সরকারি ঘর তালাবদ্ধ রেখে আগের বসতবাড়িতেই বসবাস করছে। ফলে প্রকল্পটি বাস্তবায়নের মূল উদ্দেশ্য – ভূমিহীন ও গৃহহীনদের পুনর্বাসন – নিয়ে সংশয় তৈরি হয়েছে।
সরকারের ‘আশ্রয়ণ প্রকল্প-২’ এর আওতায় ২০২৩ সালে শেরপুর জেলার পাঁচটি উপজেলাকে চার ধাপে ‘ভূমিহীন ও গৃহহীন মুক্ত’ ঘোষণা করা হয়। কিন্তু বাস্তবচিত্র ভিন্ন।
ভোগাইপাড় আশ্রয়ণ প্রকল্পে সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে,
অনেক ঘরে মানুষ থাকেন না, অথচ দরজায় তালা ঝুলছে নিয়মিত। স্থানীয় বাসিন্দা আমিনুল ইসলাম (৫৫) বলেন, “এখানে অনেক ঘর বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে এমন লোকদের যাদের নিজস্ব বসতবাড়ি রয়েছে। তাই তারা ঘর ফেলে রেখে গেছে।”
চাম্পা বেগম (৫০) নামে এক উপকারভোগী বলেন, “সরকার আমাদের ঘর দিয়েছে, কিন্তু আশেপাশে কোনো কাজ নেই। তাই লোকজন কাজের সন্ধানে বাইরে চলে যায়, মাঝে মাঝে এসে দেখে যায়।”
স্থানীয় ইয়াসমিন আক্তার (৩০) বলেন, “অনেক ঘর ফাঁকা পড়ে থাকে। কোনো গৃহহীন পরিবার আশ্রয়ের আশায় এলেও আমরা তাদের চেয়ারম্যানের কাছে পাঠাই যেন তারা ঘর বরাদ্দের প্রক্রিয়ায় যেতে পারে।”
আরও পড়ুন চাঁপাইনবাবগঞ্জ সরকারি মহিলা কলেজে ইন-হাউস প্রশিক্ষণ প্রোগ্রাম অনুষ্ঠিত
উপদেষ্টা:
প্রকাশক: মোছাঃ খাদিজা আক্তার
বিথী
সম্পাদক: আফজাল শরীফ
নির্বাহী সম্পাদক: মোঃ হারুন-অর-রশিদ
বার্তা সম্পাদক: মোঃ আমিনুল ইসলাম বাহার
সহকারী বার্তা সম্পাদক: মুহাম্মাদ লিটন ইসলাম
বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়:
বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক সংলগ্ন জব্বারগঞ্জ বাজার,
বকশীগঞ্জ, জামালপুর
Copyright © 2025 দশানী ২৪. All rights reserved.