মোঃ মোরশেদ আলম চৌধুরী : বান্দরবান বন বিভাগের সর্বোচ্চ থানচি রেঞ্জের সাঙ্গু রিজার্ভের ৮৫ হাজার একর বনভূমি রক্ষায় একজন ফরেস্টার , একজন গার্ড, একজন বাগান মালী দিয়ে জোড়াতালি লাগিয়ে চালাচ্ছেন বান্দরবান বন বিভাগ এর বিভাগীয় বন কর্মকর্তা আব্দুর রহমান।
অথচ সদর রেঞ্জ কোন রিজার্ভ নেই শুধুমাত্র জোতের আড়ালে টিপি ব্যবসা করার জন্য সদর রেঞ্জে কর্মকর্তা কর্মচারী আছে ৩০থেকে ৪০জন বর্তমানে সদর রেঞ্জ এ কর্মরত স্টাফ রা অলস জীবন যাপন করছেন কিন্তু দুঃখের ব্যাপার হল এত বড় ঊন্মুক্ত বনভূমি রক্ষার জন্য কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি বিভাগীয় বন কর্মকর্তা আব্দুর রহমান।
অনুসন্ধানে জানা যায়, জোত পারমিট এর আড়ালে রিজার্ভের কাঠ বৈধভাবে পাচারের সহযোগিতায় এতগুলো কর্মকর্তা কর্মচারী নিয়োগ করেছেন ডিএফও। সদর রেঞ্জ এ রেঞ্জ অফিসার হিসাবে পোস্টিং এ আসার জন্য ১০ লক্ষ টাকা নেয় ফরেস্টার হিসাবে ৫ লক্ষ টাকা বন প্রহরী ২ লক্ষ টাকা এসব টাকার ভাগ ভাটোয়ারা নাকি বন সংরক্ষক পর্যন্ত পৌঁছায় ডিএফও। তা না হলে এতবড় অনিয়ম এর অভিযোগ বারবার চট্টগ্রাম অঞ্চলের বন সংরক্ষক ড.মোল্যা রেজাউল করিম এর কাছে যাওয়ার পরও তিনি কোন কার্যকর বব্যস্থা গ্রহণ করেন নি। বরং ডিএফও এর দায়িত্ব বলে দায় এড়িয়ে যান।
বিশ্বস্ত সূত্রে আরও জানা যায় আগামী মাসের ১৪ আগস্ট সদর রেঞ্জ রেঞ্জ অফিসার শামসুল হক অবসরোত্তর ছুটিতে যাবেন এই সুযোগ কাজে লাগানোর জন্য বন সংরক্ষক চট্টগ্রাম অঞ্চলের ড. মোহাম্মদ রেজাউল করিম এর কালেক্টর খ্যাত আওয়ামী ফ্যাসিবাদীদের নিয়োগকৃত ফরেস্ট রেঞ্জার রিয়াজ রহমানকে বিশাল অংকের বিনিময়ে সদর রেঞ্জ, বান্দরবান বন বিভাগ এ পোস্টিং দিবে গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে।
অথচ কিভাবে একজন ফরেস্টার দিয়ে থানচি রিজার্ভ রক্ষার চেষ্টা করছেন ডিএফও , সাধারণ মানুষের চাওয়া বন বনভূমি রক্ষার জন্য তথা রিজার্ভ রক্ষার জন্য বিভিন্ন রেঞ্জে স্টাফ সম বন্টন এবং ফরেস্ট রেঞ্জার এর নেতৃত্বে অন্তত ১০ জন স্টাফ দিয়ে থানচি রেঞ্জ ঢালাওভাবে সাজানোর জন্য প্রয়োজন বলে মনে করেন। বান্দরবান সদর রেঞ্জ এ জোতের কাজ করার জন্য এত লোকের প্রয়োজন নেই বলেও মন্তব্য করেন।
এ বিষয়ে বন সংরক্ষক মোল্যা রেজাউল করিম ও ডিএফও আব্দুর রহমান এর সহিত যোগাযোগ করার জন্য চেষ্টা করেও ফোন না ধরায় উনার বক্তব্য পাওয়া যায় নি।
উল্ল্যেখ :বান্দরবান বন বিভাগ এর অধীনে রেঞ্জ রয়েছে সদর রেঞ্জ,টংকাবতী রেঞ্জ, খ্যায়াচলং রেঞ্জ, রুমা রেঞ্জ, পাইন্দু রেঞ্জ,সেকদু রেঞ্জ, থানছি রেঞ্জ ও সুয়ালক ষ্টেশন।
সদর রেঞ্জ ব্যতীত প্রত্যেক রেঞ্জ ও ষ্টেশন এ স্টাফ সংখ্যা ২ থেকে ৪ জন অথচ সদর রেঞ্জ এ স্টাফ সংখ্যা ৩০ থেকে ৪০ জন এরপর ও বন সংরক্ষক ড.রেজাউল করিম এর আস্থাভাজন হওয়ার কারণে সেকদু রেঞ্জ এ পোস্টিং হলেও ফরেস্ট গার্ড নাসিরুল আলম চৌধুরীকে সদর রেঞ্জ এ অতিরিক্ত দায়িত্ব দিয়ে চাঁদা আদায়ের জন্য নিয়োগ করেছেন। এ নিয়ে বিগত সময়ে বিভিন্ন পত্র পত্রিকার খবর প্রকাশিত হয়েছিল।
আরও খবরচকরিয়ায় আব্দুর রহিম নামের এক গরু ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে হত্যা
Leave a Reply