মালিকুজ্জামান কাকা
বিএনপির উদীওমান তরুণ নেতা অনিন্দ্য ইসলাম অমিত ভোটের রাজনীতিতে যশোরে বেশ সুবিধা জনক অবস্থানে।
জাতীয় নাগরিক পার্টি এন সি পি এখনো প্রার্থী ঘোষণা করেনি। যশোর-৩ সদর আসনে জামায়াত ইসলামীর মনোনীত প্রার্থী সরকারি এম এম কলেজের সাবেক ভিপি আব্দুল কাদের।
২০২৬ সালে জাতীয় নির্বাচন। এটা ধরেই ব্যাপক গণ সংযোগ করছেন বিএনপি জামায়াত সহ অন্যান্য রাজনৈতিক দলের নেতা কর্মীরা।
জাতীয় পার্টি, হেফাজত ইসলাম, জাকের পার্টি, সিপিবি জাসদ সহ অন্যান্য রাজনৈতিক দলের প্রার্থী এই আসনে এখনো চূড়ান্ত হয়নি। তবে হালচাল দেখে মনের কষ্টে যশোর প্রেমী বললেন,’পুত্রের রাজনীতির বলি পিতা যশোর ভঙ্গ ইতিহাস অবহেলিত ওর প্রাপ্তি শুধু বহর টিকে আছে কোন মতে হয়ে খৈয়িষ্ণু এক শহর দেনা পাওনা হিসাব মেলায় ভোর রাত বা প্রহর ভালোবাসা কিনতে হেথা ছড়ায় টাকা ওহ মোহর
এবার ভোটে কি হবে আল্লাহ মালুম হচ্ছে না চাউর।’
খুলনা বিভাগের অতি গুরুত্বপূর্ণ একটি আসন যশোর-৩ তথা সদর আসন। ব্রিটিশ ভারতের প্রথম জেলা যশোর। বিএনপির দুর্গ বিবেচিত হলেও ভোটের রাজনীতি এখানে ভিন্ন কথা বলে। কাগজ পত্র পরিসংখ্যান মেলালে মনে হবে এটি আওয়ামীলীগের ঘাঁটি।
তবে আজকের আলোচনা স্বাধীন বাংলাদেশের রাজনৈতিক ও ভোটের হিসাব। ২০২৬ সালে ত্রয়দশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন হবে। পরিস্থিতি সে কথাই বলছে।
যশোর-৩ (সদর) আসনে ১৮৯টি ভোট কেন্দ্রে ১৩১৫টি কক্ষে ভোটগ্রহণ হবে। এর মধ্যে পুরুষ কক্ষ ৬৩০টি ও মহিলা কক্ষ ৬৮৫টি। এ আসনে ভোটার সংখ্যা ৫ লাখ ৭৯ হাজার ৯৩৭ জন। পুরুষ ভোটার ২ লাখ ৯২ হাজার ৯৪৭ জন। মহিলা ভোটার ২ লাখ ৮৬ হাজার ৯৮৪ জন, হিজড়া ভোটার ৬ জন। ২০২৪ সালের পরিসংখ্যান এটি।
যশোর-৩ বাংলাদেশের জাতীয় সংসদের ৩০০টি নির্বাচনী এলাকার একটি। এটি যশোর জেলায় অবস্থিত জাতীয় সংসদের ৮৭নং আসন।
দক্ষিণ বঙ্গের উন্নয়ন কারিগর জন নেতা তরিকুল ইসলামের সুযোগ্য কনিষ্ঠ পুত্র অনিন্দ্য ইসলাম অমিত। পিতা মন্ত্রী থাকা কালীন যশোর সহ সার্বিক দক্ষিনাঞ্চলের ব্যাপক উন্নয়নের কারিগর হিসাবে প্রতিষ্ঠিত। তিনি এখানে নিজের একটি তেজী বলয়ও গঠন করেছেন।
তার ছোট ছেলে অনিন্দ্য ইসলাম অমিত ইতিমধ্যে দলের খুলনা বিভাগীয় ভারপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক মনোনীত হয়েছেন। নামাজ, রোজা, দান, অসহায় ও মামলায় হয়রান দলীয় নেতা কর্মীর পাশে দাড়িয়ে উজ্জ্বল ইমেজ প্রতিষ্ঠা করেছেন। বিএনপির এমপি প্রার্থী হিসাবে, ধানেরশীষ প্রতীকের পক্ষে তিনি গণ সংযোগ করছেন। আওয়ামীলীগ মাঠে নেই বলেই তার জয়ের সম্ভাবনা আরো বেশি বলে বিএনপির নেতা কর্মীরা ধারণা পোষণ করছেন।
ধারণা করা হচ্ছে, ধানের শীষের সাথে এখানে জামায়াতের দাড়িপাল্লার যা কিছুটা প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে। কেননা জামায়াত প্রার্থী ভিপি আব্দুল কাদের তত পরিচিত জন না হলেও তিনি দলীয় ঐক্যবদ্ধতায় বিজয়ের আশা করছেন। তিনি নামাজী, ইসলাম ধর্মের উজ্জ্বল অনুসারী কোন সন্দেহ নেই।
নির্বাচন অতীত দেখে আসা যাক:১৯৭৩ সালে আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী জেকেএমএ আজিজ যশোর সদরে তথা ৩ নং আসনে স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম এমপি।
১৯৭৯ সালে বিএনপির মোহাম্মদ এবাদত হোসেন মন্ডল এমপি নির্বাচিত হন। ১৯৮৬ সালে জাতীয় পার্টির খালেদুর রহমান টিটো এমপি হন। ১৯৮৮ সালে জাসদের গাজী আব্দুল হাই এমপি হয়েছিলেন। ১৯৯১ সালে আওয়ামীলীগের রওশন
আলী এমপি নির্বাচিত হন।
১৯৯৬ সালের ফেব্রুয়ারী নির্বাচন হয় যাতে বিএনপির তরিকুল ইসলাম এম পি হন। তবে একই বছরের জুনের ভোটে বিজয়ী হয়ে এমপি নির্বাচিত হয়েছিলেন আওয়ামীলীগ প্রার্থী আলী রেজা রাজু। ২০০১ সালে বি এন পি প্রার্থী তরিকুল ইসলাম এমপি হন। ২০০৮ সালে আওয়ামীলীগের খালেদুর রহমান টিটো আবার এম পি হন।
২০১৪, ২০১৮ এবং ২০২৪ সালে আওয়ামীলীগ প্রার্থী কাজী নাবিল আহমেদ এম পি হন। তবে বিএনপি এবং তার সহযোগীরা এই নির্বাচন বয়কট করেছিল। এটাকে বিএনপি জামায়াত এনসিপি ফ্যাসিস্টের নির্বাচন আখ্যা দিয়েছে।
নতুন ভোটাররা এই অভিমত ব্যাক্ত করেছেন, জাতীয় নাগরিক পার্টি এনসিপি এবার বাজিমাত করবে যশোরে।
সাধারণ ভোটাররা বলছেন, ভোটের মাঠে এনসিপি নতুন। এখানে জামায়াত-বিএনপি মূল লড়াই হবে। আওয়ামীলীগের কোন সম্ভাবনা নেই। জাতীয় পার্টি তার সুদিনের ৫% ধরে রাখতে পারেনি। জ্যাকের পার্টি, ইসলামী শাসণতন্ত্র আন্দোলন, হেফাজতের কিছু ভোট আছে তবে তাতে এমপি বিজয়ী হবে বলা কঠিন।
বিএনপির নেতা-কর্মীরা বলছেন, ধানের শীষ প্রতীক তথা শহীদ জিয়ার বিএনপি যশোরে বাজিমাত করবে অমিত ইসলামের নেতৃত্বে।
জামায়াত নেতা কর্মীরা জানান, বিএনপি এখন ক্ষমতার লোভে অন্ধ। তারা ফ্যাসিস্ট আওয়ামীলীগের নেতা কর্মীদের সেল্টার দিচ্ছে।
মারামারি, চাঁদাবাজি, গ্রূপিংয়ে চাঁদাবাজিতে লিপ্ত বিএনপির বড় একটি অংশ। ভোটে এর প্রতিফলন পড়বে।
আরও পড়ুন নরসিংদীতে বেলাবতে ট্রাকচাপায় রিকশাভ্যান আরোহী ব্যবসায়ী নিহত
Leave a Reply