মালিকুজ্জামান কাকাঃ ছবির মানুষটির নাম কালু। নব্বই গণ আন্দোলনের রাজপথের সক্রিয় সদস্য ছিলেন। বিএনপি কর্মী হিসাবেও তার এলাকায় পরিচিতি ব্যাপক। কিন্ত এখন মাদক কারবারিরা তাকে প্রতিনিয়ত হেনস্থা করছে।
অবৈধ মাদক কারবারিদের কাছে হেরে যাচ্ছেন তিনি। দলের কাউকে যেমন তিনি পাশে পাচ্ছেন না, তেমনি প্রশাসনিক সদস্যরাও এগিয়ে আসছে না। এ কারণে চরম বিপাকে সামাজিক রাজনৈতিক বিএনপি কর্মী কালু। তিনি দিশেহারা হয়ে চোখে সর্ষের ফুল দেখছেন।
এটি যশোর শহরের ৫নং ওয়ার্ড খড়কি কলাবাগান পাড়া এলাকার চিত্র। শেখ কালু মুদি দোকান অর্থাৎ ক্ষুদ্র ব্যাবসায়ী। তার পিতার নাম মৃত সফি উদ্দীন।
দক্ষিনাঞ্চলের অন্যতম বিদ্যাপীঠ এমএম কলেজের ১০০ সোয়া ১০৯ গজের মধ্যে তার বাড়ি। কলেজে ছাত্রলীগ, ছাত্রমৈত্রী মুক্ত করে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল প্রতিষ্ঠায় ছিল তার ক্ষুদ্র অবদান। কিন্ত এখানে শিক্ষার আলো নেই। মাদক কারবারি ও সন্ত্রাসীরা এলাকা নিয়ন্ত্রণ করে। কাউকেই তোয়াক্কা করেনা এসব সামাজিক দুবৃত্ত। মানেনা কোন আইন। আশে পাশের দুই একজন সুবিধা ভোগী ২/১ বিএনপি নেতাকে টাকার বিনিময়ে হাতে বা পক্ষে রেখে কাজ হাসিল করে এসব মাদক কারবারি ও তাদের দোসর রা।
১৯৯০ বাদেও দীর্ঘ ১৭ বছর সে বিএনপির রাজনীতি করেছে। এমনকি ফ্যাসিস্ট বিরোধী জুলাই আন্দোলনেও সে মুদি দোকান বাদ দিয়ে রাজপথে ছিল। কিন্ত এখানে বিএনপির ত্যাগী কালুর কোন মূল্য নেই। এখন যেন সে দলে অবাঞ্চিত। মাদ। মাদক কারবারিরা তাকে আগেও মারধর করেছে। এখনো তাকে দমাতে, হত্যা করতে উঠে পড়ে লেগেছে। বি এনপি তার বিপদে এগিয়ে আসছে না।
জানা গেছে, স্থানীয় আওয়ামীলীগ ক্যাডার মাস্তান সোহেল কলাবাগান পাড়ায় মাদক সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণ করছে। মৃত নূর ইসলামের ছেলে এই সোহেল (৩৪) এখন হঠাৎ করে প্রসাশনিক একটি বাহিনীর সোর্স বোনে বসে আছে। তার সাথে রয়েছে, সোহেলের ভাই সাদ্দাম হোসেন, রবিউল ইসলামের ছেলে চান্দুসহ আরো কয়েক জন। এরা পুরো এলাকাটি মাদক, সন্ত্রাস, আর নানা অপকর্মে অস্থিতিশীল করে রেখেছে। মাদক ব্যাবসায়ীরা কাউকে মারলে সোর্সদের প্রভাবে পুলিশ ভুক্তভুগির পাশে দাঁড়ায় না।
এই অভিযুক্ত মাদক কারবারিরা গত ২২ জুন বিএনপি কর্মী শেখ কালু কে মারধোর করে। আবারো তাকে হত্যা করতে উঠে পড়ে লেগেছে এই সোহেল গঙ।
মাদক কারবারি সোহেল কলাবাগান পাড়ার মাদক ব্যাবসা ও ব্যাবসায়ীদের নিরাপত্তা দিচ্ছে বলে জোর অভিযোগ রয়েছে। স্থানীয়রা অভিযোগ করেছেন সোহেল ও তার দোসররা এতদিন আওয়ামীলীগের মদদপুষ্ট সন্ত্রাসীর লোক ছিল। নিজে আওয়ামীলীগ করতো।
এখন সে কোন একটি প্রশাসনিক বাহিনীর সোর্স। আর এটাকে পুঁজি করে এখন তাদের মাদক প্রভাব থেকে এলাকা থেকে মাদক উচ্ছেদ করা যাচ্ছে না। ঘরে ঘরে যেন মাদক কারবারি। গিজ গিজ করছে মাদক ব্যাবসায়ী ও মাদক দ্রব্য। একই সাথে কালুর মত নিবেদিতপ্রাণ বিএনপি কর্মী কে রক্ষায় না পুলিশ না নিজ দলের কেউ এগিয়ে আসছে।
আরও পড়ুন যশোর-২: ঝিকরগাছা-চৌগাছায় বিএনপি এবার আশাবাদী, সার্বিক এগিয়ে জামাত
উপদেষ্টা:
প্রকাশক: মোছাঃ খাদিজা আক্তার
বিথী
সম্পাদক: আফজাল শরীফ
নির্বাহী সম্পাদক: মোঃ হারুন-অর-রশিদ
বার্তা সম্পাদক: মোঃ আমিনুল ইসলাম বাহার
সহকারী বার্তা সম্পাদক: মুহাম্মাদ লিটন ইসলাম
বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়:
বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক সংলগ্ন জব্বারগঞ্জ বাজার,
বকশীগঞ্জ, জামালপুর
Copyright © 2025 দশানী ২৪. All rights reserved.