
গত ১০ জুলাই বিভিন্ন অনলাইন পোর্টালে “ভুয়া স্কুল খুলে ২১ পরিবার নিঃস্ব করেছে জামায়াত নেতা” এবং একটি পোর্টালে “আওয়ামী লীগ নেতাদের রক্ষায় সক্রিয় জামায়াত নেতা আনিছ” — এই ধরনের মনগড়া ও বিভ্রান্তিকর শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে।
ওই খবরে উল্লেখ করা হয়েছে যে, “২১টি পরিবারের কাছ থেকে ভুয়া স্কুল খুলে প্রায় কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে জামায়াত নেতা আনিছুর রহমান ও তার ভাতিজি জামাই মোয়াজ্জেম হোসেন বাবুল।” আমরা পরিষ্কারভাবে জানাচ্ছি, এ ধরনের সংবাদ সম্পূর্ণ মিথ্যা, ভিত্তিহীন, উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও মানহানিকর।
আমরা কারো কাছ থেকে কোনো টাকা নেইনি, বরং বরাবরই নৈতিকতা ও স্বচ্ছতার সঙ্গে চলেছি। উল্লেখ্য, উক্ত স্কুলটি প্রতিষ্ঠার সময় দেশে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় ছিল এবং স্কুলটির সভাপতি ছিলেন রাজিবপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সম্মানিত যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব আমিন উদ্দিন মাস্টার। এখন প্রশ্ন হলো—আমরা কীভাবে তখন কোটি টাকা আত্মসাৎ করলাম? যারা এমন গুরুতর অভিযোগ তুলেছেন, তাদের কাছে প্রমাণসহ ব্যাখ্যা দাবি করছি।
আমাদের বিশ্বাস, একটি কুচক্রী মহল পূর্বপরিকল্পিতভাবে আমাদের সামাজিক, পারিবারিক ও রাজনৈতিকভাবে হেয় করার উদ্দেশ্যে কিছু সাংবাদিককে ভুল ও ভ্রান্ত তথ্য দিয়ে সংবাদটি প্রচার করিয়েছে।
সবচেয়ে দুঃখজনক বিষয় হলো, যিনি এই সংবাদটি প্রচার করেছেন, তিনি নিজে এক সময় ছাত্রলীগের সহ-সভাপতির পদে ছিলেন। অথচ তিনি আমাদের কাছে থেকে বক্তব্য না নিয়ে, কোনো সত্যতা যাচাই না করেই এ ধরনের ভিত্তিহীন সংবাদ প্রকাশ করেছেন। আমরা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে তার বিরুদ্ধে সুষ্ঠু তদন্ত এবং আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জোর দাবি জানাচ্ছি।
আমরা এ ধরনের অসত্য, উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও মানহানিকর সংবাদের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি এবং সংশ্লিষ্ট সংবাদ মাধ্যমগুলোকে দ্রুত সংবাদটি প্রত্যাহার ও সংশোধনী প্রকাশের আহ্বান জানাচ্ছি।
প্রতিবাদকারীগণ:
আনিছুর রহমান
মোয়াজ্জেম হোসেন বাবুল
Leave a Reply