1. admin@dashani24.com : admin :
  2. alamgirhosen3002@gmail.com : Alamgir Hosen : Alamgir Hosen
  3. aminulbahar3331@gmail.com : Md. Aminul Islam : Md. Aminul Islam
  4. a01944785689@gmail.com : Most. Khadiza Akter : Most. Khadiza Akter
  5. afzalhossain.bokshi13@gmail.com : Md Haurn Or Rashid : Md Haurn Or Rashid
  6. liton@gmail.com : Md. Liton Islam : Md. Liton Islam
  7. r01944785689@gmail.com : Rashadul Islam Rony : Rashadul Islam Rony
  8. lalsobujbban24@gmail.com : Md. Shahidul Islam : Md. Shahidul Islam
শুক্রবার, ১০ অক্টোবর ২০২৫, ০৯:১৫ পূর্বাহ্ন

যশোর-৪: বাঘারপাড়া-অভয়নগর টিএস আইযুব বনাম স্থানীয় নেতৃবৃন্দ বিএনপির দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে

  • আপডেট সময় : মঙ্গলবার, ৮ জুলাই, ২০২৫
  • ৫১ বার পঠিত

মালিকুজ্জামান কাকাঃঁ যশোর-৪ (অভয়নগর-বাঘারপাড়া ও বসুন্দিয়া ইউনিয়ন) সংসদীয় আসনে বিএনপির দ্বন্দ্ব এখন প্রকাশ্যে। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল- বিএনপির ধানের শীষ প্রতীকের সম্ভাব্য এমপি প্রার্থী কেন্দ্রীয় নেতা প্রকৌশলী টিএস আইয়ুব।

তাকে ঠেকাতে একাট্টা হয়েছেন আসনটির দুই উপজেলার শীর্ষ নেতারা। আর টি এস আইযুব পন্থীরাও মাঠ দখলের নানা কর্মসূচি সম্পন্ন করছেন।

বাঘারপাড়া ও অভয়নগর উপজেলার শীর্ষ নেতারা এক অনুষ্ঠানে টিএস আইয়ুবকে হটাতে একাট্টা হওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। একই মঞ্চে দুই উপজেলার নেতারা হাত উঁচিয়ে আইয়ুবকে ‘চাঁদাবাজ ও ফ্যাসিস্ট’ আখ্যা দিয়ে ঘায়েল করেও বক্তব্য দেন। গত ১৪ জুন এই বিরোধ প্রকাশ্য হয়। তবে এখনো মীমাংসা হয়নি।

এই ঘোষণায় যশোর-৪ আসনে বিএনপির অভ্যন্তরীণ কোন্দল তুঙ্গে। তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা হতাশ। টি এস আইয়ুব শিবিরের দাবি, জনপ্রিয়তায় ঈর্ষান্বিত হয়ে একটি পক্ষ তাঁর বিরোধিতা করছে। আইয়ুববিরোধীদের ভাষ্য, ‘হটাও চাঁদাবাজ, বাঁচাও বিএনপি। এই স্লোগানে দুই উপজেলার তৃণমূলে ঐক্যবদ্ধ রাজনীতির শুভ সূচনা হয়েছে বলে তারা মনে করছেন।

স্থানীয় রাজনৈতিক সূত্রে জানা যায়, যশোর-৪ আসনটি আওয়ামী লীগের ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত। দেশ স্বাধীনের পর ১২টি নির্বাচনের ৮টিতে বিজয়ী হয়েছে আওয়ামী লীগ প্রার্থীরা। এই আসনে দীর্ঘদিন ধরে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশীর তালিকায় শীর্ষে বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও কৃষক দলের কেন্দ্রীয় যুগ্ম সম্পাদক প্রকৌশলী টিএস আইয়ুব।

এরপর রয়েছেন অভয়নগর উপজেলা বিএনপির সভাপতি ফারাজী মতিয়ার রহমান, বাঘারপাড়া পৌর বিএনপির সভাপতি ও সাবেক মেয়র আবদুল হাই মনা, জাতীয়তাবাদী যুবদল ঢাকা মহানগর দক্ষিণের যুগ্ম আহ্বায়ক ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল অ্যাডভোকেট নূরে আলম সিদ্দিকী সোহাগ।

বিরোধী নেতা-কর্মীদের অভিযোগ, ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের পর আসনটিতে অন্যান্য উপজেলার চেয়ে বেশি চাঁদাবাজির অভিযোগ ওঠে নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে। একক আধিপত্য বিস্তার করতে আসনটির দুই উপজেলাতে কমিটি গঠনে একক নিয়ন্ত্রণ করেছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা টিএস আইয়ুব। পলাতক আওয়ামী লীগের চেয়ারম্যান ও নেতা এবং ব্যবসায়ীদের পুনর্বাসনেরও অভিযোগ ওঠে আইয়ুবের বিরুদ্ধে।

দীর্ঘদিন ধরে যাঁরা আইয়ুবের সঙ্গে রাজনীতি করেছেন, তাঁরাই এখন বিরোধিতা করে রাজপথে নেমেছেন। একাট্টা হয়ে আইযুবের বিরুদ্ধে নানা বক্তব্য দিচ্ছেন তারা। এত দিন আইযুবের জন্মস্থান বাঘারপাড়ায় নেতা-কর্মীরা তাঁর বিরোধিতা করলেও এখন আরেক উপজেলা অভয়নগরেও বিরোধ প্রকাশ্যে।

এই আসন এলাকায় বিএনপির নেতা-কর্মীদের নিয়ে ঈদ পুনর্মিলনী করেছেন আরেক মনোনয়ন প্রত্যাশী শ্রমিক দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি ফারাজী মতিয়ার রহমান। অভয়নগরের একতারপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠে এ ঈদ পুনর্মিলনীর আয়োজন করা হয়। ওই অনুষ্ঠান থেকে ফারাজী মতিয়ার রহমানকে বিএনপির প্রার্থী ঘোষণার দাবি জানান অভয়নগর ও বাঘারপাড়া উপজেলার বিএনপির নেতারা।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন আরেক প্রার্থী আবদুল হাই মনাও। একই মঞ্চে নেতারা হাত উঁচিয়ে ঘোষণা দেন, আইযুবের দলীয় মনোনয়ন ঠেকাতে দরকার হলে নেতা-কর্মীরা ঢাকায় গিয়ে অবস্থান কর্মসূচিতে অংশ নেবেন।

অনুষ্ঠানে টিএস আইয়ুবকে ফ্যাসিস্ট ও দুর্নীতিবাজ আখ্যা দিয়ে মতিয়ার রহমান ফারাজী বলেন, ‘দুর্নীতিবাজ ব্যক্তিকে বিএনপির দলীয় মনোনয়ন দেখতে চাই না। যারা সিন্ডিকেট গড়ে, সিনিয়র নেতাদের বাদ দিয়ে রাজনীতি করে, তাদেরকে রুখে দিতে হবে। যারা বিগত সময়ে আন্দোলন-সংগ্রামে ছিল না, যারা বিএনপির নেতা-কর্মীদের ওপর হামলা-নির্যাতন করেছে, সেই আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের পুনর্বাসন করছে টিএস আইযুব। আমাদের স্বাধীনতাকে হরণ করেছে সে। তার চাঁদাবাজিতে অতিষ্ঠ সাধারণ মানুষ। তাই হটাও চাঁদাবাজ, বাঁচাও বিএনপি। চাঁদাবাজ, ফ্যাসিবাদের হাতে জনগণের দায়িত্ব তুলে দিতে চাই না। এটা কেন্দ্রীয় নেতাদের বোঝাতে হবে, অবহিত করতে হবে।’ দলের ক্লিন ইমেজের ব্যক্তিকে দলীয় মনোনয়ন দেওয়ার আহ্বান জানান তিনি।

বাঘারপাড়া পৌর বিএনপির সভাপতি আব্দুল হাই মনা বলেন, ‘৩০ বছর আগে এই ঐক্যবদ্ধ হওয়ার দরকার ছিল। আওয়ামী লীগের গাঁটছড়া নিয়ে বিএনপির নেতৃত্ব দিচ্ছে টিএস আইয়ুব। আওয়ামী লীগের সঙ্গে আঁতাত করে চলেছে সে। এখন আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসন করছে। এমন ব্যক্তিকে নেতা-কর্মীরা চায় না। তাকে প্রতিহত করতে সবাইকে এক হতে হবে।’এর আগে দুই উপজেলার নেতা-কর্মীরা বাঘারপাড়া ও অভয়নগর বাজারে টিএস আইযুবকে হটাতে মহড়া দেন।

একই দিন সন্ধ্যায় অভয়নগরের নওয়াপাড়া বাজারে টিএস আইযুবের অনুসারীরা আনন্দমিছিল বের করেন। আনন্দমিছিল হলেও মূলত তা বিরোধীদের উদ্দেশ্যে পাল্টা কর্মসূচি ছিল। আর এসব মতামত ব্যাক্ত করছেন বি এনপির নেতা-কর্মীরা। এখনো গ্রূপিং লবিং চলছে।
যদিও এ বিষয়ে টিএস আইযুব কোন মন্তব্য করেননি।

আরও পড়ুনঃ পালবাড়ি থেকে মনিহার সড়ক যেন বিল এঁটেল জলাশয়

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরও খবর
© All rights reserved © 2022 Dashani 24
Theme Customized By Shakil IT Park