এ.এস আব্দুস সামাদ ঝিনাইদহ প্রতিনিধিঃ ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুর উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চল গুলোর মধ্যে তালসার, কামারকুন্ডু, আন্দোলপোতা, জনবহুল গ্রাম।
ঝিনাইদহ সদর উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চল গুলোর মধ্যে সুতি, দুর্গাপুর হাজীডাঙ্গা থেকে ২২ থেকে ২৫ কিঃ মিঃ দূরত্বে জেলা শহর। কোটচাঁদপুর উপজেলা শহর ৫ থেকে ৭ কিঃমিঃ দুরত্ব। স্বল্প সময়ে নিকটবর্তী উপজেলা শহরে স্কুল কলেজে লেখা পড়া সহ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিতে আসেন।সদরের গ্রাম গুলো নিকটস্থ হওয়ায় চলাচল বেশি। প্রতিদিন হাজারো মানুষ চলাচল করতো এই বাঁশের সাঁকো তৈরী করে।
সেই চলাচলের বাঁশের সাঁকোটি গত মাসে প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে একাধারে অতিবৃষ্টিতে চিত্রা নদীর পানি বৃদ্ধি পায়। পানির স্রোতের গতি তীব্র হয়ে নদীতে থাকা ধাপে বাঁশের সাঁকো ভেঙে তছনছ হয়ে যায়। শুরু হয় স্কুল কলেজ পড়ুয়া ছাত্র ছাত্রীদের স্কুলে যাওয়ার নানা রকম সমস্যা। এরপর এলাকার স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন অনির্বাণের নজরে আসে এই সংকটের চিত্র।
ছাত্র ছাত্রী সহ সাধারণ মানুষের চলাচলের পথ পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বাঁশের সাঁকো তৈরী করতে উদ্যোগ নেন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন অনির্বাণ। বিভিন্ন মাধ্যমে ব্যয়বহুল ১৮০ ফুট বাঁশের সাঁকো তৈরীতে সংগ্রহ করেন দেড় হাজারের অধিক বাঁশ।সরকারি কোন সহায়তা ছাড়াই দুই শত শ্রমীকের দিনভর পরিশ্রমে নব জীবন ফিরে পেলো ভেঙে যাওয়া বাঁশের সাঁকোটি।স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন অনির্বাণ এখন এলাকার ছাত্র ছাত্রী সহ সাধারণ মানুষের নিকট আশীর্বাদ। এমনটাই মনে করছেন চিত্রা পাড়ের মানুষ।
এ বিষয়ে অনির্বাণের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি খোন্দকার ফারুক হোসেন জানান অনির্বাণ এলাকার সাধারণ মানুষের সুখ দুঃখের পাশে থেকে কাজ করতে চাই। সামাজিক দুর্ভোগ হয় এমন সকল কাজে মানুষের পাশে থেকে কাজ করতে সব সময় পাশে থাকবে অনির্বান।তিন লক্ষ টাকার অধিক ব্যায় হয়েছে বাঁশের সাঁকো তৈরী করতে। প্রতি বছর প্রাকৃতিক দূর্যোগের কারণে নষ্ট হয়ে যায় এই সাঁকো ব্যায় হয় প্রচুর অর্থ।
নদী পাড়ের মানুষ গুলো প্রতি বছর অর্থ ও শ্রম দিয়ে সাঁকো রক্ষা করে চলেছেন। ব্যয়বহুল হওয়ায় এবার হাল ছেড়ে দেন নদী পাড়ের মানুষ। সরকারি কোন সহায়তা ছাড়াই অর্থ ও শ্রম দিতে হয় এদের।আর কতটা শ্রম ও অর্থ ব্যায় হলে ফিরে পাবে চলাচলের ব্যবস্হা।
ঝুঁকি নিয়ে বাঁশের সাঁকো দিয়ে পারাপার হতে হয়, ছাত্র ছাত্রী, কোমলমতি শিশু ও বৃদ্ধদের, কৃষক, দিনমজুর ব্যবসায়ি মালামাল বিক্রির জন্য পারাপার হতে হয় ঝুঁকি নিয়ে। এলাকার মানুষের দীর্ঘদিনের দাবি তালসার বাজার ঘাটের চিত্রা নদীর উপর ব্রীজ তৈরী করে এলাকার মানুষের চলাচলের পথ সুগম করতে।
এলাকায় বসবাসরত ছাত্র ছাত্রী নারী পুরুষ সাধারণ পথচারীদের দীর্ঘদিনের দাবি একটি ব্রীজের। একাধিকবার মানববন্ধন কর্মসূচি পালন সহ বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ হলেও কর্তৃপক্ষের কোন পদক্ষেপ নেই। কথা বলা হয় পথচারীদের মধ্যে আসাদুল, সুরুজ, শাহিন রবিউল, সবুজ, সহ যাতায়াত করা কোমল মতি ছাত্র ছাত্রী কলেজ পড়ুয়া ছেলে মেয়ে সহ বয়োবৃদ্ধ নারীদের সাথে। বলেন তালসার ঐতিহ্যবাহী বাজার ঘাটে ব্রীজ হলে স্কুল কলেজ মাদ্রাসায় ঝুঁকি ছাড়া সহজে যাতায়াত করতে পারবে আর হাজারো মানুষ দীর্ঘদিনের কষ্ট লাঘব হবে।
আরও পড়ুনঃ চিরিরবন্দরে বিনামুল্যে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও কৃষকের মাঝে গাছের চারা বিতরণ
Leave a Reply