এম জামানঃ খুলনা রেঞ্জের নুরুল আমিন নামে এক এস আইয়ের বিরুদ্ধে ফ্যাসিস্টের দোসর ভূমিকা পালনের অভিযোগ উঠেছে।
মামলায় চালান দেয়ার ভয় দেখিয়ে অর্থ আদায়, নিরীহ মানুষ কে মাদকদ্রব্য দিয়ে মামলায় ফাঁসিয়ে দেওয়ার গুরুতর অভিযোগ উঠেছে। এই এস আইয়ের ব্যাজ নম্বর- ৭৮৯৮০৬৩৫০৯।
এই পুলিশ কর্তা এস আই বর্তমানে মংলায় কর্মরত। তার বিরুদ্ধে স্বর্নবার আত্মসাত করারও অভিযোগ রয়েছে। এছাড়াও বিভিন্ন আওয়ামীলীগ নেতার পক্ষে জামায়াত বিএনপির নেতা কর্মীদের মামলায় ফাঁসিয়ে দেওয়া, থানায় ধরে এনে নির্যাতন, চালান না দিয়ে ছেড়ে দেয়ার অঙ্গীকার করে অর্থ নিয়ে প্রতারণার মাধ্যমে মামলায় চালান, জমি ঘের শালিশে কাড়ি কাড়ি টাকা নিয়ে প্রভাব শালীদের পক্ষ গ্রহণ, স্বর্ণ বার আত্মসাত, মালামাল আত্মসাতের অভিযোগ তার বিরুদ্ধে।
এছাড়া মাদক কারবারিদের সাথে সক্ষতা, দরিদ্র নিপীড়নকারী হিসাবে তার কুখ্যাতি রয়েছে।
এস আই নুরুল আমিন সাতক্ষীরা জেলার স্যামনগর উপজেলার জয়নগর কাশিমরি গ্রামের মৃত নজরুল সর্দার এর পুত্র।
জানা যায়, আওয়ামীলীগ সরকারের আমলে তিনি চাকুরীতে নিয়োগ পান। এ কারণে নিজেকে আওয়ামীলীগের একনিষ্ঠ নেতা মনে করেন। চাকুরী জীবনে যে সব কর্ম স্থলে ছিলেন, সে সব স্থানে গরীব অসহায় নির্যাতন কারী হিসাবে চিহ্নিত ছিলেন। তিনি যশোর কোতয়ালি মডেল থানা, বেনাপোল পোর্ট থানা, বাঘার পাড়া থানা, বাগাচড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে দায়িত্ব পালন করেছেন। এখানে থাকা কালীন ২০১৫ সালে ৭০ লক্ষ টাকা মূল্যের চোরাকারবারি পণ্য মেরে আত্মসাত করেন।
একই বছর ৬০ পিচ মূল্যবান স্বর্নবার আত্মসাত করেন। বিষয় টি জানাজানি হলে তার চাকুরী চলে যাওয়ার পরিস্থিতি তৈরি হয়। পরে পুলিশের উচ্চ পদস্থ ও দায়িত্বশীলদের ম্যানেজ করে সে যাত্রা রক্ষা পান।
সূত্র জানায়, বাঘারপাড়া থানায় থাকা কালীন এস আই নুরুল আমিন সুখদেব নগরের সোহারাব হোসেনের ছেলে এনামুল কবির কে ধরে এনে গাঁজা দিয়ে চালান দেন। পরে ভুক্তভুগি জামিনে কারাগার থেকে বাইরে এসে পুলিশের রেঞ্জ ডিআইজি ও পুলিশ সুপার বরাবর এস আই নুরুল আমিনের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দেন। সেই অভিযোগের শেষ পরিণতি কি হয়েছে তা এখনো জানা যায়নি। তবে এটা জানা গেছে মামলার যা অবস্থা ভুক্তভুগির ঐ মিথ্যা মামলায় সাজা হবে। তিনি এলাকায় মরা গরীব হিসাবে পরীগণিত।
এছাড়া খুলনাতে ডুমুরিয়া থানায় তিনি চাকুরী করেছেন।
থানায় আটক চোরা কারবারী পণ্য মেরে দিয়ে গোপনে বিক্রি করে অর্থ আত্মসাত করেছেন। সংশ্লিষ্টরা জানান, মোঙলার মাদক কারবারিদের সাথে বেজায় দহরম মহরম। অভিযোগ রয়েছে ইয়াবা ফেন্সিডিল, গাঁজা আটক করে তিনি তা মাদক ব্যাবসায়ীদের কাছে সাপ্লাই দেন। পাশাপাশি জমি ও ঘের সংক্রান্ত শালিশের অভিযোগ তদন্তে তিনি ৫০ হাজার থেকে এক লাখ টাকা ঘুষ নেন।
অভিযোগ পত্র হাতে নিতে তিনি সর্ব নিম্ন ১০ হাজার টাকা ছাড়া নড়েন না। তিনি যতদিন যেখানে দায়িত্ব পালন করেছেন তার একই ধ্যান জ্ঞান ছিল ফ্যাশিষ্ট আওয়ামীলীগের স্বার্থ রক্ষা করা। টাকা দিয়ে পছন্দ মত স্থানে তিনি পোস্টিং নেন বলেও তার বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে।
মংলা থানা বিএনপির এক শীর্ষ নেতা বলেন, ভয়ঙ্কর তথ্য এই, মোঙলার আওয়ামীলীগ নেতাদের এজেন্ট হয়ে এস আই নুরুল আমিন এখনো কাজ করছেন।
কয়েকটি ক্ষেত্রে আমরা এই অভিযোগ পেয়েছি। দলের হাই কমান্ডে তার বিষয়ে অভিযোগ দেওয়ার চিন্তা ভাবনা করা হচ্ছে। স্থানীয় বিএনপি জামায়াত বিষয়টি নিয়ে প্রকাশ্যে উস্মা প্রকাশ করেছেন। ফাসিস্টের দোসর এই দারোগা কে নিয়ে তারা ঘরে বাইরে বড় বিপদের মধ্যেই রয়েছেন।
আরও পড়ুনঃ শৈলকূপায় পেশাজীবীদের ঐক্যজোট: ‘উপজেলা পেশাজীবী অধিকার পরিষদের’ আহ্বায়ক কমিটি গঠিত
Leave a Reply