নিজস্ব প্রতিনিধি তারিকুল ইসলাম তারাঃ কুড়িগ্রামের রাজিবপুর উপজেলার পোষ্ট অফিস রোড সংলগ্ন এলাকার জমি সংক্রান্ত একটি পুরনো বিরোধ এখন উচ্চ আদালতের দোরগোড়ায়। উপজেলার সদর ইউনিয়নের মদনেরচর এলাকার বাসিন্দা ওছিউদ জামান ও উপজেলা প্রশাসনের মধ্যকার দীর্ঘদিনের জমি বিরোধ শেষ পর্যন্ত গড়িয়েছে ঢাকা হাইকোর্ট পর্যন্ত।
জানা গেছে, রাজিবপুর উপজেলার পোষ্ট অফিস সংলগ্নে একটি জমি নিয়ে ওছিউদ জামান ও উপজেলা প্রশাসনের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। বিষয়টি নিয়ে উত্তেজনা চরমে পৌঁছায় যখন রাজিবপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ফজলে এলাহী ওই জমিতে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করেন। অভিযানের সময় একাধিক ঘর ভেঙে দেওয়া হয়।
ঘর ভাঙার সময় স্থানীয় লোকজন, যাদের মধ্যে ওছিউদ জামানের পরিবারের সদস্যরাও ছিলেন, তারা বাধা প্রদান করে এবং নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে এক সপ্তাহ সময় চান তাদের প্রমাণ ও আইনি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার জন্য। পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে ইউএনও এক সপ্তাহ সময় দেন।
এই সময়ের মধ্যেই ওছিউদ জামান ঢাকাস্থ মহামান্য হাইকোর্টে একটি রিট পিটিশন (Writ Petition) দায়ের করেন। এরপর ২৭ জুন (শুক্রবার) রিট পিটিশনের একটি কপি উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফজলে এলাহীর কাছে উপস্থাপন করা হয়। তবে ইউএনও অফিসিয়াল কপি ছাড়া কোনো কার্যক্রমে যেতে নারাজ থাকায় তিনি কেবলমাত্র আদালতের অফিসিয়াল আদেশের কপি চেয়ে নেন।
ফলে, ওছিউদ জামানের পক্ষ থেকে আদালতের অফিসিয়াল আদেশ সংগ্রহের জন্য আরও ৫ দিনের সময় চাওয়া হয়। এ বিষয়ে রাজিবপুর উপজেলা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আনিচুর রহমান মানবিক বিবেচনায় ইউএনও-কে মৌখিকভাবে অতিরিক্ত সময় দেওয়ার সুপারিশ করেন।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফজলে এলাহী এ ব্যাপারে বলেন,
“আমি কোনো অননুমোদিত কাগজে পদক্ষেপ নিতে পারি না। যদি ৫ দিনের মধ্যে আদালতের অফিসিয়াল কপি হাতে পাই, তাহলে সেই অনুযায়ী পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”
বর্তমানে পুরো ঘটনাটি আইনি প্রক্রিয়ায় রয়েছে। আদালতের নির্দেশনার অপেক্ষায় রয়েছে প্রশাসন এবং ওছিউদ জামান পক্ষ। স্থানীয়রা বলছেন, আদালতের রায়ে যে দিকেই বিষয়টি গড়াক না কেন, এতে করে হয়তো দীর্ঘদিনের জমি বিরোধের একটি স্থায়ী নিষ্পত্তি ঘটবে।
আরও পড়ুনঃ কালিহাতীতে ‘সবুজায়ণ সমাজ কল্যাণ সংস্থা”র সহযোগিতায় জোয়াইর মসজিদ ও গোরস্থানে বৃক্ষরোপণ
Leave a Reply