নিজস্ব প্রতিনিধি তারিকুল ইসলাম তারাঃ কুড়িগ্রামের রাজিবপুর উপজেলার সদর ইউনিয়নের টাংগালিয়াপাড়া এলাকার খাজার ঘাটে নির্মিত একটি কাঠের ব্রীজ বর্তমানে চরম ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। যে কোন মুহূর্তে ব্রীজটি ভেঙে পড়ে বড় ধরণের দুর্ঘটনার আশঙ্কা করছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বিগত সরকারের আমলে সাবেক সংসদ সদস্য বিপ্লব হাসান পলাশের বরাদ্দকৃত ১২ লাখ টাকা ব্যয়ে ব্রীজটি নির্মাণ করা হয়। কিন্তু নির্মাণে ব্যবহৃত নিম্নমানের কাঠ এবং খুঁটিগুলো উল্টোভাবে মাটিতে পুঁতে দেওয়ার কারণে ব্রীজটি নির্মাণের এক বছরের মধ্যেই ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়ে। এলাকাবাসীর অভিযোগ, প্রকল্প বাস্তবায়নের দায়িত্বপ্রাপ্ত ঠিকাদার ছিলেন সাবেক সংসদ সদস্য পলাশের মামা আবুল হোসেন, যিনি বর্তমানে পলাতক রয়েছেন।
ব্রীজটির ওপর দিয়ে প্রতিদিন অসংখ্য মালবাহী ভ্যান, অটো রিকশা ও স্থানীয় মানুষের যাতায়াত চলছিল। তবে ব্রীজের ভঙ্গুর অবস্থা দেখে অনেকে এখন পায়ে হেঁটে পার হতে বাধ্য হচ্ছেন। সামনের বন্যা মৌসুমকে সামনে রেখে ব্রীজটি ভেঙে পড়লে পুরো কোদালকাটি ইউনিয়নসহ আশেপাশের চরাঞ্চলের প্রায় ৫০ হাজার মানুষের উপজেলা সদরের সঙ্গে যোগাযোগ সম্পূর্ণরূপে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
স্থানীয় একাধিক বাসিন্দা জানান, “ব্রীজটি এখন মৃত্যুফাঁদে পরিণত হয়েছে। আমরা প্রতিনিয়ত আতঙ্কে থাকি। কখন যেন ভেঙে পড়ে জান-মালের ক্ষতি হয়।”
তারা আরো বলেন, “আমাদের দাবি, সরকার যেন খাজার ঘাটে একটি টেকসই ও পাকা ব্রীজ নির্মাণের ব্যবস্থা গ্রহণ করে। এতে চরাঞ্চলের খেটে খাওয়া সাধারণ মানুষের যাতায়াতে স্বস্তি ফিরবে।”
এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ ও দ্রুত পদক্ষেপ কামনা করছেন স্থানীয়রা। নইলে যে কোন সময় ঘটতে পারে বড় ধরণের বিপর্যয়।
Leave a Reply