মোঃ আব্দুস সামাদঃ ঝিনাইদহ উপ-কর কমিশনারের কার্যালয়ের সাবেক প্রধান সহকারী বজলুর রশিদের বিরুদ্ধে নানা অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে।
এমনকি শিক্ষাগত যোগ্যতার জাল সনদ দিয়ে বছরের পর বছর চাকরি করে যাচ্ছেন তিনি। এ নিয়ে একাধিকবার সংশ্লিষ্ট দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দিলেও তার বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি কর্তৃপক্ষ।
বজলুর রশিদ বর্তমানে যশোর উপ-কর কমিশনারের কার্যালয়ে কর্মরত রয়েছেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ১৯৯২ সালে এমএলএসএস পদে এসএসসি পরীক্ষার জাল সনদ দিয়ে তৎকালীন এক কর কর্মকর্তার যোগসাজশে চাকরি নেন বজলুর রশিদ। এরপর থেতেই একের পর এক অনিয়মে জড়িয়ে পড়েন তিনি। কর্মজীবনে ঝিনাইদহ, চুয়াডাঙ্গা, মাগুরা ও যশোরসহ বিভিন্ন এলাকায় চাকরি করেছেন।
সে সময় করদাতাদের ফাইল আটকিয়ে মোটা অংকের টাকা অদায় করতেন। অবৈধ পন্থায় আয়ের এসব টাকা দিয়ে নামে-বেনামে ঝিনাইদহ শহরের আরাপপুর এলাকায় তিনতলা ভবন, যশোরে ডেভলপার ব্যবসাসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বজলুর রশিদ ১৯৮২ সালে কুষ্টিয়ার মিরপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পরীক্ষার উত্তীর্ণের সনদ জমা দিয়ে চাকরি নেন। তবে ওই নামের কোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের হদিস মেলেনি কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলায়।
অভিযোগের বিষয়ে বজলুর রশিদ বলেন, ‘আমাকে নিয়ে বিভিন্ন সময়ে বহু মানুষ এগুলো লিখেছে। এসব লিখে কোনো লাভ নাই।’
এ ব্যাপারে জানতে খুলনা বিভাগীয় কর কমিশনার শ্রাবণী চাকমার ব্যবহৃত মোবাইলে একাধিকবার কল করলেও তিনি রিসিভ করেননি।
Leave a Reply