মালিকুজ্জামান কাকাঃ একটি প্রেম কেন্দ্র করে আলোকদিয়ার নিখিল সাহার পরিবারে আজ অসনিসংকেত। প্রেমিক ছেলে কারাগারে, বাকি ছেলেকে নিয়ে বাবা মামলায় বাড়ি ছাড়া।
ছেলে প্রেমিকাকে নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার পর মামলায় এখন কারাগারে। বাকি এক ছেলে ও বাবা তারাও আসামি। আটকের আর পুলিশের ভয়ে বাড়ি ছাড়া। এই পরিবারে এখন রাজ্যের নীরবতা। বাড়ি মানব শুন্য।
অথচ এমন হওয়ার কথা ছিল না।
জানা গেছে মাগুরা জেলার মাগুরা সদরের আলোকদিয়া বাজারের নিখিল কুমার সাহার পুত্র অনির্বান সাহা অন্তরের সাথে পার্শ্ববর্তি সিরিজদিয়া গ্রামের আশ্বিন বিশ্বাসের কন্যা নন্দিতা রানী বিশ্বাসের সাথে দির্ঘদিন প্রেম ছিলো। একপর্যায়ে উভয়ে গত ৬ মে পাবনার প্রথম শ্রেনীর ম্যাজিস্ট্রেট এর আদালতে নোটারী পাবলিকের মাধ্যমে উভয়ে উপস্থিত হয়ে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়।
তারা পাবনা শহরের দুর সম্পকের আত্মীয় প্রনব কুমারের বাড়ীতে থেকে বিবাহ উদযাপন করছিল। নন্দিতার চাচা অরবিন্দু বিশ্বাষ কন্যা নন্দিতা রানী অপহরন করা হয়েছে মর্ম্মে মাগুরা সদর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেন।
মামলায় বাদি অভিযোগ করেন মাগুরা সদর থানার নিখিল কুমার এর পুত্র অনির্বান সাহা অন্তর তার ভাইয়ের মেয়ে নন্দিতা রানীকে কলেজে যাওয়া আসার পথে বিভিন্ন সময়ে প্রেম প্রস্তাব সহ নানা ভাবে ভয় ভিতি প্রদশন করে আসছিলো। এরই এক পর্যায়ে ৬মে তাকে অপহরণ করে। ফলে মেয়ে ফিরে পেতে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলাটি দায়ের করেন।
এই মামলায় আসামী করা হয অনির্বান সাহা,তার বড় ভাই অনিমেষ সাহা ও পিতাঃ নিখিল সাহাকে। ৩ জনের নাম উল্লেখ করে, থানায় মামলাটি দায়েরের পর মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা আইয়ুব আলী পাবনা শহরের প্রনব কুমারের বাড়ী থেকে অনির্বান সাহা অন্তর ও নন্দিতাকে আটক করে। পরে তাদের মাগুরা সদর কোর্টে উপস্থিত করে।
আদালতে নন্দিতা ও অনির্বান জবান বন্দিতে উল্লেখ করেন তারা উভয়ের সম্মতি ক্রমে বিবাহ বন্ধনে হয়েছেন। কিন্তু নন্দিতার পরিবার নন্দিতাকে অপ্রাপ্ত বয়স্ক উল্লেখ করে। নন্দিতাকে তার পরিবারের জিম্মায় হস্তান্তরের আবেদন করলে আদালত কর্তৃক নন্দিতাকে তার পরিবারের কাছে হস্তান্তরের আদেশ দেন। অনির্বানকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ প্রদান করেন।
অন্তর বর্তমানে কারাগারে। বাড়ি ছাড়া তার ভাই ও বাবা। অথচ সকলেই জানে তাদের প্রেমের কথা। একজন পুরোহিত বলেন, হিন্দু শাস্ত্রমতে ১৬ বছর বয়স হলে ছেলে মেয়ে বিবাহের উপযুক্ত হয়। তাছাড়া তাদের হিন্দু সমাজে মামলা মোকদ্দমা খুবই কম।
এব্যাপারে নন্দিতার কাকা অরবিন্দু বিশ্বাস এর কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান মেয়ে তাদের হেফাজতে রয়েছে।
Leave a Reply