মোঃ আব্দুস সামাদ: কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের এক নেতাকে আটক করে পুলিশের কাছে দিয়েছেন একদল শিক্ষার্থী। গতকাল সোমবার রাত সাড়ে সাতটার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
আটক সাইমুন খান বিশ্ববিদ্যালয়ের হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। তিনি বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের কৃষিশিক্ষাবিষয়ক সম্পাদক।
ক্যাম্পাস সূত্রে জানা গেছে, গতকাল সাইমুন খান ক্যাম্পাসে তাঁর সনদ তুলতে আসেন। সন্ধ্যার পর তিনি ক্যাম্পাসের প্রধান ফটকের সামনে আড্ডা দিচ্ছিলেন; সঙ্গে একজন বান্ধবী ছিলেন। এ সময় একদল শিক্ষার্থী তাঁকে আটক করেন। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তাকর্মীদের সহায়তায় তাঁকে পুলিশে সোপর্দ করা হয়।
শিক্ষার্থীরা জানান, ক্যাম্পাসে থাকাকালীন সাইমুনের বিরুদ্ধে একাধিক শিক্ষার্থীকে হয়রানি ও শারীরিকভাবে নির্যাতনের অভিযোগ রয়েছে। সর্বশেষ গত বছরের জুনে বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্যুরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী খায়রুল ইসলামকে হলে ডেকে নিয়ে মারধর ও ছাদ থেকে ফেলে দেওয়ার হুমকি দেন সাইমুন। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী ওই শিক্ষার্থী প্রক্টর কার্যালয়ে লিখিত অভিযোগ দিয়েছিলেন।
খায়রুল ইসলাম বলেন, ‘আমি মারধরের শিকার হয়ে প্রক্টর বরাবর অভিযোগ দিয়েছিলাম। ছাত্রলীগের নেতা হওয়ায় তখন বিচার পাইনি। তাঁর দেওয়া হুমকির সব প্রমাণ আমার কাছে আছে।’
সাইমুনের বান্ধবী বলেন, ‘ঘটনাস্থলে কোনো অপ্রীতিকর কিছু ঘটেনি। হঠাৎ কিছু শিক্ষার্থী এসে ঘিরে ধরে এবং পরে নিরাপত্তাকর্মীদের ডেকে পুলিশের হাতে তুলে দেয়। ও কাউকে কোনো ক্ষতি করেনি। শুধু ছাত্রলীগের নেতা হওয়ায় মামলা দেওয়া হচ্ছে। আগের মারধরের ঘটনাও প্রক্টর অফিসে মীমাংসা হয়েছিল।’
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মেহেদী হাসান বলেন, নিষিদ্ধ সংগঠনের এক নেতাকে শিক্ষার্থীরা আটক করে থানায় দিয়েছেন। এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। মঙ্গলবার সকালের পর তাঁকে আদালতে নেওয়া হবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর শাহীনুজ্জামান বলেন, যেহেতু সাইমুন নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের একজন পদধারী নেতা। তাঁর বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে মামলা করা যেতে পারে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ইতিপূর্বেই আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে জানিয়েছে, যদি এমন কেউ বিশৃঙ্খলার চেষ্টা করে, তবে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা যাবে।
আরও পড়ুনঃ মহেশপুরের খালিশপুর নীলকুঠি বাংলাদেশের ঔপনিবেশিক ইতিহাসের সাক্ষ্য
Leave a Reply