মোঃ আব্দুস সামাদ শৈলকুপা প্রতিনিধি: জীবনভর যাকে আগলে রেখেছেন, শেষমেশ তার কাছেই হার মানলেন। ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলার খুলুমবাড়িয়া গ্রামের সাপুড়ে মৃত হাজারি খন্দকারের ছেলে মোঃ কাদের খন্দকার চলে গেলেন না-ফেরার দেশে, যন্ত্রণাময় এক বিদায়ে।
শনিবার দুপুর। প্রচণ্ড রোদ আর গরমে কাহিল হয়ে পড়েছে প্রাণিকুল। ঠিক সেই সময় নিজের পোষা গোখরা সাপটিকে পানি খাওয়াতে গিয়েছিলেন কাদের খন্দকার। আর সেখানেই ঘটে যায় মর্মান্তিক ঘটনা—হঠাৎই ছোবল মারে সেই সাপ, যে কাদেরের পোষা, সহচর, পেশার অঙ্গ।
জীবনের অর্ধেকটা যিনি কাটিয়েছেন বিষের সঙ্গে যুদ্ধ করে, সেই তিনিই বিষের কাছে হার মানলেন। নিজেই বিষ নামানোর চেষ্টায় ছিলেন। কিন্তু ভাগ্য এতটা অবকাশ দিলো না। ক্রমেই শরীর নিস্তেজ হতে থাকে। স্বজনরা ছুটে যান শৈলকুপা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে।
চিকিৎসক ডা. সাহা নেওয়াজ বলেন, “রোগীকে দ্রুত এন্টিভেনম দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তার পূর্বের হৃদরোগ ছিল, যা জটিলতা বাড়িয়ে দেয়।”
শেষ চেষ্টা ছিল ফরিদপুর হাসপাতালে নেওয়া, কিন্তু পথেই থেমে যায় জীবনপ্রবাহ। শেষবারের মতো চোখ বুজলেন সাপুরে কাদের।
সাপ ধরা, খেলায় দেখানো আর বিক্রির মধ্যেই কেটে গেছে তার জীবন। সাপ ছিল তার রুটি-রুজি, আবার সেই সাপই হয়ে উঠল মৃত্যুদূত।
আজ খুলুমবাড়িয়া গ্রামের আকাশ ভারী, বাতাস নিস্তব্ধ। একজন প্রকৃত সাপুড়ে, একজন সংগ্রামী মানুষের বিদায় যেন গ্রামজুড়ে এক শোকের সুর বইয়ে দিয়েছে।
আরও পড়ুনঃ রংপুরে যৌতুকের দাবিতে গৃহবধূ নির্যাতন, গর্ভপাত, অতপর…
Leave a Reply