সংবাদ প্রতিনিধিঃ যশোরের আওয়ামীলীগের যত সব খয়ের খা এখন বেমালুম বি এনপি বনে বসে আছে। এ নিয়ে ঘরে বাইরে বিএনপি স্থানীয় পর্যায়ে সমালোচনায় ঝাঁঝরা হচ্ছে।
যশোর শহরের রেলগেট পশ্চিমপাড়া, মাঠ পাড়া, চোর মারা দীঘির পাড়, ডালমিল, রায়পাড়া, খড়কির চিন্নিত আওয়ামীলীগার এই মুহূর্তে বিএনপি যুবদল হয়ে গেছে। অথচ এরা হত্যা মামলা, চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন মামলার আসামী। ভূমিদস্যু হিসাবেও এদের দীর্ঘ কুখ্যাতির কথা সবার জানা।
ওর নাম নূর আলম। ভেজাল ঘি বিক্রেতা নূর আলম হিসাবেই বেশি পরিচত। তবে কেউ কেউ পাবনায়ে নূর আলম নামে ডাকে। আবার অনেকে বলেন বহু বিয়ের নাট্যকর নূর আলম। বাড়ি যশোর সহরের ৫নং ওয়ার্ড ডালমিল পশ্চিম মহল্লায়। পিতার নাম মৃত নাজিম উদ্দীন।তাকে দেখা যায় তেতুলতলায়। আওয়ামীলীগ ক্যাডার হিসাবে তার পরিচয় ছিল। ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট পর্যন্ত তাকে আওয়ামীলীগের সকল মিছিল মিটিঙে দেখা গেছে।
তেতুলতলায় হাজী সেলিমের বাড়ির পাশে মুজিব সড়কের গায়ে জমিটি আওয়ামীলীগ ক্যাডার, চিন্নিত চাঁদাবাজ, সুদে কারবারি যশোর শহর আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবকলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক ভাগ্নে শাহাজাদার সহযোগিতায় তিন তিনবার বিক্রি করেছে। এই নূর আলমের বড় ছেলে কেও দেখা গেছে নিষিদ্ধ ঘোষিত আওয়ামীলীগ নেতা হাজী সুমনের সকল মিছিল মিটিং এ।
বলা ভাল এই চোর মারা দীঘির পাড়ের শাহজাহানের ছেলে শাহাজাদা এবং একই এলাকার রশিদ মিস্ত্রীর ছেলে আহাদ ওরফে চোর আহাদ বিএনপি যুবদলের নেতা কর্মীদের বাড়ি পুলিশ পাঠাতো। তাদের পুলিশ দিয়ে ধরিয়ে টাকা নিত এবং মামলায় পেঁচিয়ে দিত।
রেলগেট, রেলগেট মাঠ পাড়া, রায়পাড়ার মরা তরিকুল সাইদুল বাহিনীর থার্ড ইন কমান্ডার সাইদুলের বাপ্ ধুপি বিল্লাল, ঘেন্টিক্রাক সাত্তারের ছেলে খালেক, মাদক শাহজাদা, ডালমিলের বরিশেলে জাহাঙ্গীর, মিঠু, সহ প্রায় অর্ধশত সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজ, ভূমিদস্যু, এখন বিএনপি যুবদলের নেতাদের ছত্রছায়ায় বিএনপির সভা সমাবেশে থাকছে। এই তালিকায় রয়েছে তেতুলতলার আরো কয়েকজন। এরা ৫নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর রাজিবুলের সাথে আওয়ামীলীগের সকল প্রোগ্রামে থাকতো। এই ধারার মানুষদের বিরুদ্ধেই সাধারণ মানুষের ক্ষোভ ছিল বলার মত।
একই দশা শঙ্করপুর, বেজপাড়া, বারান্দিপাড়া, পুরাতন কসবা, কারবালায়।
শহরের বাসিন্দা পেশাজীবি মামুন এসব বিষয়ে বলেন, সাধারণ মানুষের সব সময় বিপদ। যেসব চাঁদাবাজ, গুন্ডা, চোর জোচ্চোর আগে আওয়ামীলীগের সাথে ছিল। নিজেদের নৌকার লোক বলে গর্ব করে বেড়াত, এখন তারা বিএনপির ছায়াতলে। এরা মানুষের রাজনৈতিক সার্টিফিকেট দিয়ে বেড়ায়।
খড়কির বাসিন্দা ইমন বলেন, ২০২৪ সালের ৫ আগষ্টের আগে যাদের আওয়ামীলীগ অফিসে দেখা গেছে এখন তারা চরম বিএনপি। দলীয় ভাবে খতিয়ে দেখা উচিৎ কারা এদের সেল্টার দিচ্ছে। নইলে ফ্যাসিবাদীর বিরুদ্ধে বিজয়ের আনন্দ মাটি হবে। সাধারণ বাঙালির জন্য এটি খুবই ভয়াবহ অভিজ্ঞতা।
আর মনের দুঃখে সরস মাঝি তাই গাইলেন,
ভবে আনন্দ খেলা সাংগ করে বাটপার
ওরে এখনি বিদেয় দে নইলে করবে ছারখার।
আরও পড়ুনঃ নড়াইলে মসজিদের ইমামকে মারধরের প্রতিবাদে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত
উপদেষ্টা:
প্রকাশক: মোছাঃ খাদিজা আক্তার
বিথী
সম্পাদক: আফজাল শরীফ
নির্বাহী সম্পাদক: মোঃ হারুন-অর-রশিদ
বার্তা সম্পাদক: মোঃ আমিনুল ইসলাম বাহার
সহকারী বার্তা সম্পাদক: মুহাম্মাদ লিটন ইসলাম
বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়:
বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক সংলগ্ন জব্বারগঞ্জ বাজার,
বকশীগঞ্জ, জামালপুর
Copyright © 2025 দশানী ২৪. All rights reserved.