মালিকুজ্জামান কাকাঃ এক শাশুড়ি তার লোকজন দিয়ে নিজের ছেলে, বেটার বউ, বেটার বউ এর বোন ও দুলাভাই সহ পাঁচজন কে হত্যার চেস্টা চালিয়েছে। আহতরা বর্তমানে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এর মধ্যে চাঁচড়া ইউনিয়ন বিএনপি নেতা মুজিবর রহমান রয়েছেন।
মীমাংসার কথা বলে বাড়ি ডেকে এনে শতাধিক নারী পুরুষ দিয়ে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে তাদের হত্যার চেস্টা চালানো হয়। এ বিষয়ে কতোয়ালি মডেল থানায় ভুক্তভুগিরা অভিযোগ দিয়েছেন। বিষয়টি নিয়ে ঘটনা স্থলে তীব্র উত্তেজনা বিরাজ করছে।
৪নং নওয়াপাড়া ইউনিয়নের বাহাদুরপুর তেতুলতলা পাড়ার মিন্টু হোসেনের স্ত্রী খাদিজা ইতি (৩৫) অভিযোগ পত্রে জানান, ১। মোঃ আঃ রশীদ (৩০) ২। মোঃ জামাল হোসেন (৪০) উভয় পিতা- মকবুল হোসেন মাতা- আলেয়া বেগম, ৩। মতিয়ার রহমান (৬০) পিতা মোঃ মসলেম ৪। শাকিল হোসেন (২৭) পিতা রেজাউল ইসলাম ৫। লাল চান (২৮) পিতা মতিয়ার রহমান ৬। মোছাঃ আমেনা বেগম (৬০) স্বামী মোকছেদু মহুরী মূল অভিযুক্ত। এর মধ্যে আব্দুর রশিদ খাদিজা ইতির মামাত দেবর।
সে বিভিন্ন সময়ে ইতিকে উত্যক্ত করতো এবং আজেবাজে কথা বার্তা বলে। সে ইতির বাসার সাথে দোকানদারী করে। দোকানদারী করা কালে বিবাহা তাহার সহযোগীদের সহায়তায় ওই গৃহবধূকে বিভিন্ন ভাবে উত্যক্ত করে, আজেবাজে কথাবার্তা বলে। তার কথায় রাজী না হওয়ায় রশিদ তার সহযোগীদের সহায়তায় ইতির ক্ষতি করার বিভিন্ন ষড়যন্ত্র করিতে থাকে। গত ১৮ এপ্রিল বেলা সাড়ে ৩টার সময় গোসল করে ভিজা কাপড়ে ঘরে ঢোকার সময় রশিদ ইতির পিছন পিছন ঘরে ঢোকার চেষ্টা করে।
তখন ইতি তার গতিবিধি খারাপ দেখে ঘরের দরজা দিয়ে চিল্লা পাল্লা করে। তখনও রশিদ ওই ঘরে জোর করে ঢুকার জন্য দরজা ধাক্কাধাক্কি করে। আশে পাশের লোকজন জড় হতে শুরু করে। ইতি ফোনে তার পিতা মাতাকে জানায়। ঘটনা জেনে ইতির বড় বোন ডলি, দুলাভাই মুজিবর রহমান, ভাবী তানিয়া খাতুন (স্বামী মোঃ মিলন হোসেন) ইতির বাসায় আসে। তারা ঘটনার বিষয় জানতে চাইলে ইতির শাশুড়ি ও রসিদের নেতৃত্বে লোকজন আগতদের উপর অতর্কিত আক্রমন করে।
এ সময় অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে এলোপাতাড়ী মারপিট করে। এ সময় হামলাকারী রশিদ, রসিদের স্ত্রী ভানু তানিয়ার গলায় থাকা ১ভরি ওজনের সোনার চেইন ও ৮আনা ওজনের একজোড়া কানের দুল কাড়িয়া নেয়। ওর মুল্য অনুমান ২,৩০,০০০ টাকা বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
আগতরা আহত হয়ে বিবস্ত্র হয়ে পড়ে ছিল ফেলিয়া পাড়াইয়া ধরিয়া আসামী ভানু বেগম আমার কানের দুল খুলিয়া নেয়যার মুল্য অনুমান ৫০,০০০/=টাকা। এরপর গুরুতর জখম কানে থাকা ৮ আনা ওজনের কানের দুল খুলিয়া নেয়। মুল্য প্রায় ৭০,০০০ টাকা। আসামীরা ইতির ভগ্নিপতি মুজিবর রহমানের পকেটে থাকা ব্যাবসায়িক টাকা নিয়ে নেয়।
প্রত্যক্ষদর্শী ও ভুক্তভুগিরা জানান হামলাকারীরা লোহার রড ও বাশের লাঠি দিয়া মারপিট করে। তাদের মাটিতে ফেলিয়া বুকে এলোপাতাড়ী ভাবে মারপিট করে গুরুতর জখম করে। এরপর শাহিদা, সাহিদার স্বামী সিদ্দিক, ইজ্জত আলীর ছেলে হালিম, মিন্টুসহ গ্রামের লোকজন আগাইয়া আসলে হামলাকারীরা চলে যায়। গ্রামবাসী আহতদের হাসপাতালে ভর্তি করে।
১০ নং চাঁচড়ার সাবেক চেয়ারম্যান গোলাম মোস্তফা, বাহাদুরপুরের বিএনপি সভাপতি আব্দুল হালিম ও সাধারণ সম্পাদক হাসপাতালে সরেজমিন আহতদের খোঁজ খবর নিয়েছেন।
স্থানীয়রা জানান, রশিদ আওয়ামীলীগ করে। তার বিরুদ্ধে ব্যাপক অভিযোগ রয়েছে। তার একটি অপকর্মকারী বাহিনী রয়েছে। রশিদ ও তার দোসররা আহতদের হত্যা হুমকি দিচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
Leave a Reply