মালিকুজ্জামান কাকা
যশোরে গাছে ঝুলছে গুণী আম মিয়াজাকি
দেশী মানী টক কাঁচা মিঠা তাই দিচ্ছে ঝাঁকি
নটুবড়ে বললেন লাল রঙ যেন না হয় ফাঁকি
সোনার হরিণ নয় তবু খাওয়া চলবে না বাকি
বেশি দূরে নয় ওরে কৃষক তুমি যাবে নাকি
এসো নতুন কৃষির বীজ বপনে খামার আঁকি।
বিশ্ব খ্যাত জাপানের বিখ্যাত সূর্যডিম (মিয়াজাকি) আম ঝুলছে যশোরের অভয়নগর উপজেলার একটি খামারে। বিশ্বের সবচেয়ে দামি এই আম চাষে সাফল্য পেয়ে উচ্ছ্বসিত খামার মালিক আসাদুর রহমান।
চলিশিয়া ইউনিয়নের ডুমুরতলা গ্রামের সরখোলা-মশিয়াহাটী সড়কের পাশে ‘দারুল আসাদ খামারবাড়ি’র গাছে ঝুলছে লাল রঙের সূর্যডিম (মিয়াজাকি) আম। এই খামারের মালিক গুয়াখোলা গ্রামের মৃত সিরাজুল ইসলামের ছেলে মো. আসাদুর রহমান।
দারুল আসাদ খামারবাড়িতে দেখা যায়, দুটি মাছের ঘেরের মাঝে (আইলে) সারিবদ্ধভাবে মিয়াজাকি আমগাছ লাগানো। গাছ গুলো তেমন বড় না হলেও বোঁটায় বোঁটায় রঙিন সিঁদুরে লাল আম ঝুলছে।
খামারের মালিক আসাদুর রহমান বলেন, ‘পত্রপত্রিকার খবর দেখে বিশ্বের সবচেয়ে দামি আমগাছের চারা বাণিজ্যিক রোপণের সিদ্ধান্ত নিই। ২০২৪ সালের জুলাই মাসে ভারত থেকে ৬৫টি চারাগাছ আমদানি করি। একটি চারাগাছ আনতে খরচ ৪২০০ টাকা। বর্তমানে ২৩টি গাছে আম ধরেছে। বাকি গাছ গুলোতেও আম ধরতে শুরু করেছে। চলতি মৌসুমে এক হাজার টাকা কেজি দরে অন্তত পাঁচ লাখ টাকার আম বিক্রির আশা রয়েছে।’
জানা গেছে, জাপানের বিখ্যাত মিয়াজাকি (সূর্যডিম) আমে অন্যান্য আমের চেয়ে ১৫ শতাংশ স্বাদ-গন্ধ ও মিষ্টতা বেশি। রংটাও ব্যতিক্রম। এসব বিশেষত্বের কারণে বিরল প্রজাতির মিয়াজাকি বিশ্বের সবচেয়ে দামি আম। একটি আমের ওজন এক কেজি পর্যন্ত হয়ে থাকে। জায়গার নামানুসারে এর নাম রাখা হয় মিয়াজাকি। পৃথিবীতে বিখ্যাত হওয়ার পেছনে সবচেয়ে বড় কারণ এই আমের মূল্য। কারণ দামের বিচারে পৃথিবীর সবচেয়ে মূল্যবান আম এটি।
জানা যায়, সূর্যের ডিম আম বা মিয়াজাকি আম একটি জাপানি আম। আন্তর্জাতিক বাজারে এটি ‘লাল আম’ নামে পরিচিত। জাপানি ‘তাইয়ো নো তামাগো’র অর্থ হচ্ছে সূর্যের ডিম। এই আম অনেকটাই মুরগির ডিমের মতো। আর আমের রংটাও যেহেতু লাল, তাই এর এমন নামকরণ করা হয়েছে। জাপানের তাইয়ো নো তামাগো আম, বাংলা ভাষায় যার অর্থ সূর্যের ডিম আম পৃথিবীর সবচেয়ে দামি আম। বিশ্বব্যাপী এই আম লাল আম হিসেবে অধিক পরিচিত। জাপানের মিয়াজাকিতে উৎপন্ন হয় বলে অনেকে একে মিয়াজাকি আম নামে ডাকে।
অভয়নগর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা লাভলী খাতুন বলেন, ‘যশোর জেলার মধ্যে এই প্রথম বাণিজ্যিক মিয়াজাকি আমের চাষ শুরু করেছেন খামারি আসাদুর রহমান। আমি নিজে তার খামারে গিয়েছি। আমবাগান পরিদর্শন করেছি। ভালো ফলন হয়েছে। আশা করি তিনি সফল হবেন। এমন উদ্যোক্তার জন্য কারিগরি পরামর্শসহ সব ধরনের সহযোগিতায় প্রস্তুত রয়েছে কৃষি অফিস।
আরও পড়ুনঃ ঠাকুরগাঁওয়ে চকলেটের লোভে হাজির শিক্ষার্থী, দুদকে ধরা ভুয়া মাদ্রাসা কাণ্ড !
উপদেষ্টা:
প্রকাশক: মোছাঃ খাদিজা আক্তার
বিথী
সম্পাদক: আফজাল শরীফ
নির্বাহী সম্পাদক: মোঃ হারুন-অর-রশিদ
বার্তা সম্পাদক: মোঃ আমিনুল ইসলাম বাহার
সহকারী বার্তা সম্পাদক: মুহাম্মাদ লিটন ইসলাম
বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়:
বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক সংলগ্ন জব্বারগঞ্জ বাজার,
বকশীগঞ্জ, জামালপুর
Copyright © 2025 দশানী ২৪. All rights reserved.