মালিকুজ্জামান কাকাঃ যশোরের কেশবপুর উপজেলার বালিয়াডাঙ্গা গ্রামের প্রতিবন্ধী আব্দুর রাজ্জাক সরদারের পৈত্রিক ২৫ শতক জমি দীর্ঘ প্রায় ৪০ বছর ধরে প্রতারণার মাধ্যমে দখলে রাখার অভিযোগ উঠেছে একই উপজেলার পাঁচবাকাবর্শি গ্রামের দলিল লেখক নরেশ চন্দ্র দে’র বিরুদ্ধে।
৬৫ বছর বয়সী আব্দুর রাজ্জাক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে দেওয়া অভিযোগে জানান, তিনি ১২ বছর বয়সে অসুস্থ হয়ে কোমর থেকে নিচের অংশ সম্পূর্ণভাবে অচল হয়ে যান। বর্তমানে একটি হুইলচেয়ার জাতীয় যানবাহনে হাত দিয়ে প্যাডেল চালিয়ে চলাফেরা করেন।
জীবিকার তাগিদে প্রতিদিন ৫০ টাকা মজুরিতে নরেশ চন্দ্র দে’র বাড়িতে কাজ করতেন তিনি।
অভিযোগে বলা হয়, ১৯৭৫ সালে আর্থিক অনটনের কারণে রাজ্জাক তার পৈত্রিক ২৫ শতক জমি, যেখানে ৪টি নারকেল গাছ ও ২টি আমগাছ ছিল, মাত্র এক হাজার টাকায় বন্ধক দেন নরেশ চন্দ্র দে’র কাছে। সে সময় নরেশ একটি সাদা কাগজে তার স্বাক্ষর নিয়ে রাখেন।
প্রায় চার বছর পর এক হাজার টাকা ফেরত দিয়ে জমি ফেরত চাইলে নরেশ দাবি করেন, ওই জমি এক হাজার টাকায় বিক্রি করা হয়েছে এবং ২৭/০৬/১৯৭৫ তারিখে ৮৯৯৩ নম্বর দলিলের মাধ্যমে তিনি জমি কিনেছেন।
আব্দুর রাজ্জাক বলেন, “আমি কোনোদিন রেজিস্ট্রি অফিসে যাইনি, দলিল করলাম কিভাবে?” এরপর থেকে তিনি প্রশাসন ও বিভিন্ন দপ্তরে ঘুরে বেড়াচ্ছেন জমির ন্যায্য মালিকানা ফিরে পেতে। তবে কেউ বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখছেন না বলে অভিযোগ তার।
প্রায় চার বছর আগে নরেশ চন্দ্র দে মারা গেলে, বর্তমানে তার তিন ছেলে প্রদীপ, প্রশান্ত ও হিমপ্রসাদ দে ওই জমি ভোগ করছেন। তাদের কাছেও জমির দাবি জানালেও কোনো সাড়া পাননি রাজ্জাক। শেষমেশ তিনি যশোর আদালতে একটি জালিয়াতির মামলা দায়ের করেছেন।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত নরেশ চন্দ্র দে’র ছেলে, দলিল লেখক প্রদীপ কুমার দে সাংবাদিকদের বলেন, “ওই জমি আমার বাবা ৪০/৫০ বছর আগে দলিল করে কিনেছিলেন।
Leave a Reply