মালিকুজ্জামান কাকা
আগামী এক সপ্তাহ- এই নির্ধারিত সময়ের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করতে হবে। যশোর জেলা যুবদল আহ্বায়ক ও সদস্য সচিবকে সতর্ক করে আল্টিমেটাম দিয়েছে কেন্দ্রীয় কমিটি। ওই সময়ের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করে তা অনুমোদনের জন্য কেন্দ্রের কাছে জমা দেওয়ার নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে। জাতীয়তাবাদী যুবদল কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-দপ্তর সম্পাদক মিনহাজুল ইসলাম ভূঁইয়া স্বাক্ষরিত এ সংক্রান্ত এক ‘সতর্কীকরণ বার্তা’ প্রদান করা হয়েছে জেলার দুই নেতাকে।
শনিবার (১২ এপ্রিল) প্রেরিত ওই সতর্কবার্তায় যশোর জেলা যুবদলের আহ্বায়ক এম. তমাল আহমেদ এবং সদস্য সচিব আনসারুল হক রানাকে উদ্দেশ্য করে বলা হয়, সংগঠনের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক গত ৫ ফেব্রুয়ারি যশোর জেলা যুবদলের নয় সদস্য বিশিষ্ট আহ্বায়ক কমিটির অনুমোদন দেয়। এক মাসের মধ্যে জেলার ৫১ সদস্য বিশিষ্ট পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করে তালিকা কেন্দ্রে জমা দিতে তখন নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছিল। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করে কেন্দ্রে তালিকা প্রেরণ না করাকে সংগঠনের নীতি ও শৃঙ্খলা পরিপন্থী বলে কেন্দ্রীয় কমিটি মনে করছে। এটি উল্লেখ করে ওই চিঠিকে চূড়ান্ত সতর্কবার্তা ধরে নিতে বলা হয়েছে।
চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে, সাত দিনের মধ্যে যশোর যুবদলের পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন ও তালিকা কেন্দ্রে প্রেরণের নির্দেশনা দিয়েছেন কেন্দ্রীয় যুবদলের সভাপতি আবদুল মোনায়েম মুন্না ও সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম নয়ন।এর ব্যত্যয় হলে সর্বোচ্চ সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও ওই চিঠিতে সতর্ক করা হয়।
যশোর জেলা যুবদলের পদস্থরা বলেছেন, পবিত্র মাহে রমজানে জেলা যুবদলের নেতাকর্মীরা নানাভাবে সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করেছেন। এছাড়া আরও কিছু কারণে পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করা সম্ভব হয়নি। তবে কেন্দ্রীয় কমিটির সাথে আলোচনা করে সঠিক সময়ে কমিটির পূর্ণাঙ্গ রূপ দেওয়া হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তারা।
আলটিমেটাম পত্রের আগের পত্রে নবগঠিত কমিটির আহ্বায়ক ও সদস্য সচিবকে ৩০ দিনের মধ্যে ৫১ সদস্যবিশিষ্ট পূর্ণাঙ্গ আহ্বায়ক কমিটি গঠন করে তার তালিকা কেন্দ্রীয় দপ্তরে পাঠানোর নির্দেশ দেন। কিন্তু যশোর জেলা যুবদলের শীর্ষ এ দুই নেতা সে নির্দেশনা পালন করতে ব্যর্থ হয়েছেন। বিষয়টি সংগঠনের নীতি ও শৃঙ্খলা পরিপন্থী হিসেবে আখ্যা দিয়ে সতর্ক করা হয় আহ্বায়ক ও সদস্য সচিবকে। ওই নোটিশে এটিকে চূড়ান্ত সতর্কবার্তা উল্লেখ করে সাত দিনের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠনের নির্দেশনা দেওয়া হয়। পূর্ণাঙ্গ আহ্বায়ক কমিটি গঠনের পর তার তালিকা কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি ও সম্পাদকের কাছে পাঠাতে বলা হয়েছে। একই সঙ্গে ওই সতর্কবার্তায় এ নির্দেশনা না মানলে সর্বোচ্চ সাংগঠনিক ক্ষমতা প্রয়োগের হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে।
ছয় বছর পর যশোর জেলা যুবদলের কমিটি ভেঙে আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়। আগের কমিটির সভাপতি এম তমাল আহমেদকে আহ্বায়ক ও সাধারণ সম্পাদক আনসারুল হক রানাকে সদস্যসচিব করে ৯ সদস্যবিশিষ্ট আংশিক আহ্বায়ক কমিটি করা হয়।
পরবর্তী ৩০ দিনের মধ্যে জেলা যুবদলের ৫১ সদস্যবিশিষ্ট পূর্ণাঙ্গ আহ্বায়ক কমিটি গঠন করে কেন্দ্রীয় দপ্তরে পাঠানোর জন্য ওই বিজ্ঞপ্তিতে নির্দেশ দেওয়া হয়। কমিটির উল্লেখযোগ্য অন্য সদস্যরা ছিলেন জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক আশরাফুল কবির (সুমন), যুগ্ম আহ্বায়ক কবির হোসেন, আমিনুর রহমান, নাজমুল হোসেন, আরিফুল ইসলাম, রাজিদুর রহমান ও মোহাম্মদ ইমদাদুল হক।
২০১৮ সালের ২ জুন এম তমাল আহমেদকে সভাপতি ও আনসারুল হক রানাকে সাধারণ সম্পাদক করে ২০১ সদস্যবিশিষ্ট কমিটি অনুমোদন দেয় কেন্দ্রীয় কমিটি। নির্ধারিত সময়ে নতুন কমিটি না হওয়ায় পদ প্রত্যাশীদের মধ্যে হতাশা দেখা যাচ্ছে।
আরও পড়ুনঃ যশোরে বর্ণাঢ্য বাংলা বর্ষ-১৪৩২ বরণ
উপদেষ্টা:
প্রকাশক: মোছাঃ খাদিজা আক্তার
বিথী
সম্পাদক: আফজাল শরীফ
নির্বাহী সম্পাদক: মোঃ হারুন-অর-রশিদ
বার্তা সম্পাদক: মোঃ আমিনুল ইসলাম বাহার
সহকারী বার্তা সম্পাদক: মুহাম্মাদ লিটন ইসলাম
বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়:
বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক সংলগ্ন জব্বারগঞ্জ বাজার,
বকশীগঞ্জ, জামালপুর
Copyright © 2025 দশানী ২৪. All rights reserved.