যশোর প্রতিনিধি

যশোর শহরের ৫নং ওয়ার্ড রেলগেট পশ্চিমপাড়া ও খড়কী কলাবাগান এলাকায় গত রবি ও সোমবার রাতে তান্ডব চালিয়েছে যশোরের শীর্ষ সন্ত্রাসী পিচ্চি রাজা। এই বাহিনীর হুমকি ধামকিতে আতঙ্কিত ছয় মহল্লার মানুষ। মাদক বেচার আল্টিমেটমে নির্যাতনে অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন।

রোববার ৬ এপ্রিল জামিনে মুক্তি পাওয়ার পর সে এলাকায় হামলা-ভাংচুর করে এবং অন্তত ৫ জনকে আহত করে। পুলিশ জানায়, পিচ্চি রাজার বিরুদ্ধে যশোরের কোতয়ালি মডেল থানায় ২০টি মামলা রেকর্ড রয়েছে। তার বিরুদ্ধে আরো অসংখ্য অভিযোগ রয়েছে কয়েকটি মহল্লায়।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, পিচ্চি রাজা মুক্তির পর রেলগেট পশ্চিমপাড়া ও খড়কী কলাবাগান এলাকায় কয়েকটি বাড়িতে হামলা চালায়, ভাঙচুর করে এবং স্থানীয়দের মারধর করে। তার আচরণে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে এলাকার মানুষ। এই পিচ্চি রাজার হাতে খুন রমজানের ভাই সবুজ বউ কে মারে। রাত সারে ৮ টার দিকে। সবুজের পিতা ফায়েক।

কলাবাগান এ হামু স্বামী কানা বাসারের বাড়ি হানা দেয়। হামুকে মেরে টাকা মোবাইল কানের দুল নিয়ে যায়। এ সময় সে হুশিয়ারী দেয় মাল সব আমার কাছ থেকে নিবি। এই মাল হচ্ছে ইয়াবা, ফেন্সিডিল ও গাঁজা। এর পর সে তুহিনের ভাই ইরশাদ কে মেরে মাথা ফাটায়। এমনকি তুহিনের বউ কেউ সে মারে। শেষে সুফীর স্বামী মৃত নূর ইসলাম কে মারে। সুফীর বাড়ি থেকে টাচ মোবাইল, ১৭ হাজার টাকা লুট করে। অভিযোগ রয়েছে পিচ্চি রাজার সাথে অন্তত অর্ধশত সন্ত্রাসী ছিল। এর মধ্যে ইসমাইল কলোনীর কয়েজ জন সন্ত্রাসীও ছিল যারা হাজী সুমনের লোক হিসাবে চিন্নিত।

এরপর সোমবার বিকাল থেকে গভীর রাত অবধী যৌথ বাহিনী গোপন সংবাদে অভিযান চালিয়ে ৪ দূর্বৃত্তকে আটক করতে সক্ষম হয়, তবে পিচ্চি রাজা পালিয়ে যায়। আটক ৪জন হলো, রেলগেট পশ্চিমপাড়ার শহিদুল ইসলামের ছেলে শান্ত ইসলাম (১৯), শাহীন মোল্লার ছেলে রাকিব হাসান সাদিক (১৯), মৃত মোহাম্মদ আলীর ছেলে শেখ সোহেল রানা (২০) এবং সদর উপজেলার মাহিদিয়া উত্তরপাড়ার ইদ্রিস আলীর ছেলে খালিদ বিন ওয়ালিদ ওরফে নাঈম (২০) ।

কোতয়ালি মডেল থানার এসআই অমৃত কুমার দাস জানিয়েছেন, গত সোমবার রাত ৯টার দিকে গোপন সূত্রে সংবাদ পেয়ে রেলগেট পশ্চিমপাড়ায় অভিযান চালানো হয়ে। সে সময় ওই চারজনকে আটক করা হয়। পরে তাদের কাছ থেকে ৬টি ধারালো দা ও ৩২ পুরিয়া গাঁজা উদ্ধার করা হয়েছে। তবে অভিযান সংবাদ পেয়ে সন্ত্রাসী পিচ্চি রাজা পালিয়ে যায়। সে খড়কী কলাবাগান এলাকার মুজিবর রহমান জাহাঙ্গীরের ছেলে। তার বিরুদ্ধে কোতয়ালি মডেল থানায় ২০টি মামলা রেকর্ড রয়েছে। এছাড়া অসংখ্য অভিযোগ রয়েছে এই সন্ত্রাসীর বিরুদ্ধে।
এলাকায় তার ব্যাপক সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের কারণে স্থানীয়দের মধ্যে গভীর উদ্বেগ ও আতঙ্ক বিরাজ করছে। তবে এখনও পিচ্চি রাজাকে গ্রেফতার করতে পারেনি আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।

আরও পড়ুনঃ নড়াইলে ছাত্র-জনতার ওপর হামলার ৩ মামলায় আ’লীগের ৪৮ নেতাকর্মী কারাগারে