হালুয়াঘাট (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি: ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট উপজেলা ও পৌর বিএনপির সদ্য ঘোষিত কমিটিতে ত্যাগী হামালা ও মামলার স্বীকার নেতাকর্মীদের অবমূল্যায়ন এবং কমিটি থেকে বাদ দিয়ে আওয়ামী লীগের দোসর ও দালালদের সমন্বয়ে কমিটি গঠন করার অভিযোগ এনে প্রতিবাদ সভা অবমূল্যায়িত এবং “পদবঞ্চিত ” নেতাকর্মীরা।
রোববার বিকেলে উপজেলার নতুন বাস স্ট্যান্ট এলাকায় এই প্রতিবাদ কর্মসূচী পালন করে ত্যাগী নেতাদের অমূল্যায়ণ ‘পদবঞ্চিত’ নেতা–কর্মীরা।
এসময় তারা অভিযোগ করেন, ২০২২ সালের ৫ নভেম্বর হালুয়াঘাট উপজেলায় কর্মী সভা করে পূর্বের ১২৮ সদস্য বিশিষ্ঠ আহŸায়ক কমিটি বিলুপ্ত করে জেলার ময়মনসিংহ উত্তর জেলা বিএনপি। এদিকে দীর্ঘদিন কমিটি না থাকায় তৈরি হয় একাদিক পক্ষ। তবে যারা ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সরকারের সময় হামলা মামলা এবং হয়রানির স্বীকার হয়েছে যারা গত ১৭ বছর ধরে মাঠে থেকে নির্যাতন সহ্য করে দলের জন্য যাঁরা কাজ করেছেন, তাঁরা স্থান পাননি। অন্যদিকে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ, স্বৈরাচারী জাতীয় পার্টির সক্রিয় কর্মী ও দোসররা দলে টাকা ও উপঢৌকন দিয়ে পদ পেয়েছেন। এসময় তারা আরো অভিযোগ জানান, এই পকেট কমিটিতে অবিলম্বে বাতিল করে ত্যাগীদের সমন্বয়ে নতুন কমিটি দেওয়ার আহŸান জানান এই কর্মসূচী থেকে।
প্রতিবাদ কর্মসূচীতে নবগঠিত উপজেলা কমিটির যুগ্ম আহŸায়ক মো: সাবজাল হোসেন খান চেয়ারম্যান, আজিজুল আহসান, পৌর কমিটির যুগ্ম আহŸায়ক নূর আক্তার হোসেন, উপজেলার সদস্য ও সাবেক উপজেলা সাধারণ সম্পাদক আ. ন. ম. সাদিকুর রহমান নইম চেয়ারম্যান, শহিদুল্লাহ, এমদাদ, ক¦ারী আক্কাস আলী, নুরুল আলম, মোকলেছুর রহমান লিটন,শহিদুল্লাহ বিএসসি, লুৎফর রহমান, পৌর সদস্য চানু মল্লিক, বিপুল ঘোষ,জহিরুল ইসলাম বাবু, কামরুল ইসলাম,শাখাওয়াত হোসেন সহ আরো অনেকে বক্তব্য রাখেন।
উপজেলা বিএনপি যুগ্ম আহŸায়ক পদে থাকা আজিজুল আহসান বলেন, এই কমিটি যেভাবে করা হয়েছে তাতে ত্যাগীরা মূল্যায়ন পায় নাই, এই কমিটি আমারা মেনে নেই নাই আর নিবোও না। এটা একটা অবৈধ কমিটি। এই কমিটিতে দল চাঙ্গা হবে না। দল যাবে ধংসের পথে। এটা একটা পকেট কমিটি হয়েছে। তিনি এসময় হুসিয়ারী দিয়ে বলেন যদি জেলা কিংবা কেন্দ্র থেকে এই কমিটি অচিরে বাতিল করে নতুন কমিটি দেওয়া না হয় তাহলে এই কমিটির বিরোদ্ধে হালুয়াঘাটে যথাযত ব্যবস্থা নিতে বাধ্য হবো।
বিলডোরা ইউপি চেয়ারম্যান ও সদ্য ঘোষিত উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহŸায়ক মো. সাবজাল হোসেন খান, তার বক্তেব্যে এই কমিটিকে পকেট ও বাণিজ্যিক কমিটি বলে আখ্যায়িত করে তীব্র প্রতিবাদ জানান, এসময় তিনি আরো বলেন, ‘উপজেলা ও পৌর দুইটি কমিটিতেই মিশ্র রাজনৈতি কিংবা ডুয়েল পলেটিক্স যারা করে যারা বিগত দিনে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সরকারের সাথে আতাত করে রাতের আধারে সুবিদা নিয়েছেন তারাই এই কমিটিতে স্থান পেয়েছেন। অনতিবিলম্বে উপজেলা ও পৌর কমিটি বাতিল করে নতুন কমিটি দেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।’
সাবেক উপজেলা সাধারণ সম্পাদক আ. ন. ম. সাদিকুর রহমান নইম চেয়ারম্যান বলেন, যারা দলের দুঃসমেয় ঘাপটি মেরে থেকে নিজেকে আড়াল করে রেখেছিল যারা আওয়ামী লীগের সাথে আতাত করেছিল যারা কিছু কিছু লোকের সংস্পর্ষে এসে বিভিন্ন সুবিদা নেওয়ার জন্য পদ নিয়ে সুবিদা নিচ্ছে তারা যেন ভবিষ্যতে ভালো কোন পদপদবী না পায় সে আহŸান রেখে কমিটি বাতিলের দাবি জানান তিনি।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে উত্তর জেলা বিএনপির যুগ্ম আহŸায়ক মোতাহার হোসেন খান, জানান, এই কমিটিতে প্রকৃত পক্ষে ত্যাগীদের মূল্যায়ন করা হয়েছে। এছাড়াও দলকে ঐক্যবদ্ধ করতে সব পক্ষের লোকজন নিয়ে কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে।
কমিটিতে আওয়ামী লীগের দোসর দের স্থান দেওয়ার ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এটা একটা ভিত্তিহীন অভিযোগ। আওয়ামী লীগের কমিটি এবং এই কমিটির তালিকা দেখিয়ে যাদি কেউ মিলাতে পারে তবে আমি সাথে সাথে তাকে বাদ দেওয়ার ব্যবস্থা করবো। এছাড়া ত্যাগী নেতার লিস্ট দেয় যাচাইপূর্বক তাকে অন্তবূক্ত করা হবে।
আরও পড়ুনঃ কালিহাতীতে সাতুটিয়া গোরস্থান নূরানী মাদ্রাসায় শিক্ষা বৃত্তি পুরস্কার বিতরণ
Leave a Reply