
দিনাজপুর থেকে মো. ফজলুর রহমান: এলাকার বাসী’র বেঁধে দেওয়া আল্টিমেটামে পুলিশ প্রশাসন ১৯,২০ ও ২১ তারিখের মধে আসামিকে আইনের আওতায় আনার আশ্বাস দেন।
এ সময় পুলিশ প্রশাসন ১৯,২০ ও ২১ তারিখের মধে আসামিকে আইনের আওতায় আনার আশ্বাস দিলে এটি মেনে নেওয়ার পর মানববন্ধন ও সংবাদ সম্মেলন প্রত্যাহার করে নেন মানববন্ধন কারীরা। বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে, পুলিশ প্রশাসনের চোখকে ফাখি দিয়ে আত্মগোপনে থাকা আসামিকে আইনের আওতায় আনার জন্য নানান দিক দিয়ে চাপ সৃষ্টি করেন। পুলিশ প্রশাসন মানববন্ধন কারীদের আশ্বাস দেওয়া তিন দিনের সময়ের এক দিনের মাথায়-১৯ জানুয়ারি রোববার
ধর্ষণকারীর অন্যতম ও প্রধান আসামী উপেন পাল (কালু) দিনাজপুর জেলা আদালতে আত্মসর্পণ করেন। এবিষয়টি নিশ্চিত করেন চিরিরবন্দর থানার পুলিশ। উল্লেখ্য যে,রাণীরবন্দরে একমাস আগে ভয়ভীতি দেখিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ এবং আসামীকে গ্রেফতারের দাবিতে মানববন্ধন,,দিনাজপুরের চিরিরবন্দর উপজেলার রাণীরবন্দরে- প্রাণে মেরে ফেলার ভয়ভীতি দেখিয়ে ধর্ষণ এবং মামলা ধামাচাপা দিতে মা-মেয়ে ও ছেলেকে ঘরের মধ্যে পেট্রোল দিয়ে আগুনে পুড়িয়ে হত্যা চেষ্টার আসামীকে গ্রেপ্তার করে সুষ্ঠু বিচারের দাবীতে মানববন্ধন ও সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শনিবার দুপুরে ভুক্তভোগী মুসলিম নারী ও এলাকাবাসীর আয়োজনে: উপজেলার ১নং নশরতপুর ইউনিয়নের সুইহারীবাজারে দশমাইল- সৈয়দপুর মহাসড়কে মানববন্ধন ও সংবাদ সম্মেলন সম্পন্ন হয়েছে।
উক্ত মানববন্ধন ও সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন ক্বারী রায়হান আলী, মো: মমিনুল ইসলাম,ইমামুল হাসান,মোঃ নুর ইসলাম,শাহ ইয়াসিফ ভুঁইয়া, সাদেকুল ইসলাম, দ্বিজেন্দ্র নাথ সেন প্রমূখ। বক্তারা বলেন, চিরিরবন্দর উপজেলার ১নং নশরতপুর ইউনিয়নের নশরতপুর গ্রামের পালপাড়ার মৃত নির্মল চন্দ্র পালের ছেলে উপেন চন্দ্র পাল ওরফে কালু (৩৬) গত ২রা ডিসেম্বর সন্ধ্যা ৭টায় ওই এলাকার বছির মেম্বারপাড়ার একজন ভিক্ষুকের অসহায় মুসলিম মেয়ে (১৫) কে একাকী পেয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। এ ঘটনায় ভিকটিমের মাতা বাদী হয়ে গত ১৪ ডিসেম্বর চিরিরবন্দর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা দায়ের করেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে মামলা করার কারণে গত ৭ জানুয়ারি রাতে কালু ও তার সহযোগীরা ভিকটিমের বাড়ির বাইরে চতুর্দিকে খড় দিয়ে এবং পেট্রোল ঢেলে আগুন লাগিয়ে দিয়ে তাদেরকে হত্যার চেষ্টা করে। জানায় ভিকটিম ও এলাকাবাসী’র
এ সময় তাদের চিৎকারে পাড়া-প্রতিবেশীরা ঘটনাস্থলে ছুটে এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। মামলা দায়ের করার কারণে কালু ও তার সহযোগীরা মামলার বাদী ও ভিকটিমকে মামলা তুলে নিতে বিভিন্ন প্রকার ভয়ভীতি ও হুমকি প্রদর্শন করে। মামলা দায়ের হওয়ার মাস পেরিয়ে গেলেও পুলিশ প্রশাসন আসামীকে আজও গ্রেপ্তার করতে পারেনি। আগামী ৩দিনের মধ্যে আসামীকে গ্রেপ্তার করা না হলে কঠোর আন্দোলনে নামবে তৌহিদি জনতা বলে হুশিয়ারী দেন মানববন্ধনে।
Leave a Reply