নিজস্ব প্রতিনিধিঃ
জামালপুর জেলার বকশীগঞ্জ উপজেলায় দীর্ঘদিন যাবৎ বিভিন্ন ইউনিয়ন ভূমি অফিসে ব্যাপক স্বনামের সাথে জনস্বার্থে নিরলস ভূমি সেবায় ব্যাপক প্রশংসা অর্জন করেছেন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান আসাদ।
তিনি বকশীগঞ্জ উপজেলায় বিভিন্ন ইউনিয়ন ভূমি অফিসে দীর্ঘদিন কর্মরত আছেন। আমরা তাকে কোনদিনই দায়িত্বে অবহেলা বা অনিয়ম দূর্নীতি স্বজনপ্রীতি কিংবা অপরাধীদের সাথে যোগাযোগ আছে এমন খবর পাইনি। তিনি একজন দায়িত্বের প্রতি শ্রদ্ধাশীল ব্যাক্তিত্ব কোন প্রকার অপরাধ দূর্নীতি তো প্রশ্নই ওঠে না। তিনি জনস্বার্থে ভূমি সেবা দিয়ে পরিবেশ শান্ত রেখেছেন। তাছাড়া ভূমি সেবা যথাযথ তদন্ত সাপেক্ষে ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠায় সর্ব সময়ই অগ্রনী ভুমিকা পালন করে ভূমি সেবা প্রার্থী ফরিয়াদিদের মুখে হাসি ফুটিয়ে তোলেন যা তার নৈতিক দায়িত্ব । তার মূল টার্গেট যেন মানুষ নিরাপদ নিশ্চিন্তে ভূমি সেবা নিয়ে ভালো থাকতে পারে। বর্তমানে তিনি বকশীগঞ্জ সদয় ইউনিয়ন ভূমি অফিসে ব্যাপক স্বনামের সহিত কর্মরত আছেন।
আর এ মূহুর্তেই গত ৭ই জানুয়ারী ফেইসবুকে একটা খবর প্রকাশ হয় যে বগারচর ইউনিয়ন ভূমি অফিসের সাবেক কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান আসাদ গত পনে ২ বছরে কয়েক কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়া সহ বিভিন্ন অপকর্ম ও আইন বহির্ভূত কাজের অভিযোগ উঠেছে। তিনি গত আগষ্ট মাসে বগারচর ইউনয়ন ভূমি অফিসে থেকে বদলি জনিত কারণে বকশীগঞ্জ সদর ইউনিয়ন ভূমি অফিসে যোগদান করেন। আছাদুজ্জামান আসাদ বলেন, গত কয়েক দিন আগে বকশীগঞ্জ এনএম উচ্চ বিদ্যালয়ের বাউন্ডারি কাজ চলমান হলে সেখানে ঠিকাদারের লোকজনকে কতিপয় লোক কাজ বন্ধ রাখার জন্য চাপ সৃষ্টি করেন। পরবর্তিতে ঠিকাদার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তােকে অবহিত করার পর সহকারী কমিশনার (ভূমি) এর নির্দেশক্রমে মোঃ আসাদুজ্জামান উক্ত কাজ দেখতে যান। উক্ত কাজের বিষয়ে উর্ধতন কর্তৃপক্ষেকে অবহিত করে চলে আসার সময় ঠিকাদারকে ১নং ইটের খোয়া দিয়ে কাজ করতে বলেন এবং কাউকে টাকা দিতে নিষেধ করে চলিয়া আসেন আর এ বিষয়টিকে কেন্দ্র করে স্থানীয় একটি স্বার্থনেষী কুচক্রী মহল নিজের ব্যাক্তিগত স্বার্থ হাসিলের লক্ষে ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের মত মিথ্যা অপবাদ তুলে ভূমি সহকারী কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান এর ভাবমূর্তি ও সুনাম বিনষ্ট করতে এমন মিথ্যা অপবাদ তুলে নানান ধরনের অপপ্রচার চালিয়েছে বলে স্থানীয় সচেতন মহল মন্তব্য করে এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন।
প্রকৃত পক্ষে আসাদুজ্জামান কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়ার সহ বিভিন্ন অপকর্ম ও আইন বহির্ভূত কাজের সাথে জড়িত নয়। একটি চক্র এসব অপপ্রচার চালিয়ে সাংবাদিকদের ভাবমূর্তি ও সুনাম খর্ব করছে বলে স্থানীয় সচেতন মহলে মন্তব্য উঠেছে । তবে সকলের প্রত্যাশা সঠিক তদন্ত করলেই থলের বেড়াল বেড়িয়ে আসবে। কেন এই অপপ্রচার । নেপথ্যে তার রহস্য কি —?
আরও পড়ুনঃ শেরপুরে বৈষম্য বিরোধী ছাত্রদের উপর গাড়ী চালিয়ে দেয়া সেই ড়্রাইভার সহ গ্রেফতার -২
Leave a Reply