তারিকুল ইসলাম তারা ভ্রাম্যমান প্রতিনিধিঃ উত্তরবঙ্গের ১৩টি জেলায় চলছে তীব্র শৈত্যপ্রবাহ। সারা দিন সূর্যের দেখা নেই, আর আকাশ ঢেকে আছে ঘন কুয়াশায়।
বিশেষ করে সীমান্ত ঘেঁষা কুড়িগ্রামের রাজিবপুর ও রৌমারী উপজেলায় আকাশ যেন কুয়াশার চাদরে মোড়ানো। এই তীব্র শীতে নিম্ন আয়ের খেটে খাওয়া মানুষের দুর্ভোগ চরমে পৌঁছেছে।
শৈত্যপ্রবাহের ফলে ঠাণ্ডাজনিত রোগের প্রকোপ বৃদ্ধি পেয়েছে। স্থানীয় হাসপাতালগুলোতে শিশু ও বৃদ্ধ রোগীদের ভিড় বাড়ছে। ঠাণ্ডাজনিত ডায়রিয়া, নিউমোনিয়া, এবং শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যায় ভুগছেন অনেকে। ডাক্তার ও নার্সরা দিন-রাত অক্লান্ত পরিশ্রম করে রোগীদের সেবা দিয়ে যাচ্ছেন।
রাজিবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের এক ডাক্তার জানান, “প্রতিদিন গড়ে ২০-৩০ জন নতুন রোগী ভর্তি হচ্ছে। শিশু ও বৃদ্ধ রোগীর সংখ্যা তুলনামূলক বেশি। আমরা চেষ্টা করছি যথাসাধ্য সেবা দিতে।”
তীব্র শীতের কারণে খেটে খাওয়া নিম্ন আয়ের মানুষ ঘর থেকে বের হতে পারছেন না। কাজ না থাকায় তাদের আয়ের পথ প্রায় বন্ধ হয়ে গেছে। অনেকেরই পর্যাপ্ত শীতবস্ত্র নেই, ফলে ঠাণ্ডা সহ্য করতে গিয়ে বাড়ছে অসুস্থতা।
এক রিকশাচালক বলেন, “সকাল থেকে কুয়াশার জন্য বের হতে পারিনি। ঠাণ্ডায় হাত-পা জমে যায়। কাজ না করলে খাওয়া চলবে না, কিন্তু বের হতেও পারছি না।”
আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, আগামী ৭ জানুয়ারি পর্যন্ত উত্তরবঙ্গে শৈত্যপ্রবাহ অব্যাহত থাকতে পারে। এ সময় তাপমাত্রা আরও কমতে পারে। ফলে জনজীবনে শীতের প্রভাব আরও বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে।
শীতজনিত এই সংকট থেকে উত্তরণের জন্য সরকারের পক্ষ থেকে শীতবস্ত্র বিতরণসহ বিভিন্ন উদ্যোগ নেওয়া জরুরি। একই সঙ্গে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলোকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা।
উত্তরবঙ্গের মানুষের এই দুঃসময়ে প্রয়োজন কার্যকর সহযোগিতা এবং দ্রুত সুরাহার ব্যবস্থা। শৈত্যপ্রবাহের প্রভাব কেটে গেলে হয়তো কিছুটা স্বস্তি ফিরবে জনজীবনে।
আরও পড়ুন রাজিবপুরে দারুল আরকাম ইবতেদায়ী মাদ্রাসায় বই বিতরণী অনুষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের মাঝে আনন্দের বন্যা
Leave a Reply