ভ্রাম্যমাণ প্রতিনিধিঃ কুড়িগ্রামের রাজিবপুর উপজেলার বিভিন্ন চরাঞ্চলে এবছর চিনা বাদামের বাম্পার ফলন হয়েছে।
চাষীরা অল্প খরচে তাদের ফসল ঘরে তুলতে পেরে অত্যন্ত আনন্দিত। প্রতি এক একর জমিতে প্রায় ৫০ থেকে ৬০ মণ চিনা বাদাম উৎপাদিত হয়েছে, যা কৃষকদের জন্য অত্যন্ত লাভজনক বলে প্রমাণিত হচ্ছে।
রাজিবপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রতন মিয়া সম্প্রতি সরেজমিনে কৃষকদের সাথে মতবিনিময় করেছেন। তিনি চিনা বাদামের চাষ পদ্ধতি পর্যবেক্ষণ করে চাষীদের প্রশংসা করেন এবং ভবিষ্যতে ফলন আরও বাড়ানোর জন্য প্রয়োজনীয় পরামর্শ প্রদান করেন।
কৃষকরা জানান, এবারের আবহাওয়া বাদাম চাষের জন্য অত্যন্ত অনুকূল ছিল। সেই সঙ্গে আধুনিক চাষাবাদ পদ্ধতি ও সঠিক পরামর্শ পাওয়ায় ফসলের গুণগত মান ও উৎপাদন দুটোই বেড়েছে। চিনা বাদাম বিক্রি করেও ভালো দাম পাচ্ছেন তারা। প্রতি মণ বীজ বাদাম বর্তমানে বিক্রি হচ্ছে ৩,২০০ টাকা দরে, যা চাষীদের অর্থনৈতিকভাবে স্বচ্ছল করে তুলছে।
উন্নত প্রযুক্তি ও সহযোগিতার চাহিদা
চাষীরা আরও উন্নত প্রযুক্তি ও সরকারি সহায়তা পেলে ভবিষ্যতে চিনা বাদামের উৎপাদন আরও বাড়ানোর আশা প্রকাশ করেছেন। চিনা বাদামের উচ্চমুল্য এবং কম খরচের কারণে অনেকেই আগামীতে এর চাষ বাড়ানোর পরিকল্পনা করছেন।
কৃষি কর্মকর্তারা বলছেন, এ অঞ্চলের মাটি চিনা বাদামের জন্য অত্যন্ত উপযোগী। চাষীরা যদি সঠিক পদ্ধতিতে চাষ করেন এবং প্রয়োজনীয় সেচ ও সার ব্যবহার করেন, তবে আগামীতে উৎপাদন আরও বৃদ্ধি পাবে।
চিনা বাদামের বাম্পার ফলন রাজিবপুর উপজেলার কৃষকদের অর্থনৈতিক উন্নয়নে বড় ভূমিকা রাখবে বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা।
আরও পড়ুন
সানন্দবাড়ীতে সংকল্প ল্যাবরেটরি ক্যাডেট স্কুল উদ্বোধন।
Leave a Reply