1. admin@dashani24.com : admin :
  2. alamgirhosen3002@gmail.com : Alamgir Hosen : Alamgir Hosen
  3. aminulbahar3331@gmail.com : Md. Aminul Islam : Md. Aminul Islam
  4. a01944785689@gmail.com : Most. Khadiza Akter : Most. Khadiza Akter
  5. afzalhossain.bokshi13@gmail.com : Md Haurn Or Rashid : Md Haurn Or Rashid
  6. liton@gmail.com : Md. Liton Islam : Md. Liton Islam
  7. r01944785689@gmail.com : Rashadul Islam Rony : Rashadul Islam Rony
  8. lalsobujbban24@gmail.com : Md. Shahidul Islam : Md. Shahidul Islam
রবিবার, ০১ জুন ২০২৫, ০৮:২০ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
আজ কামালপুর মুক্ত দিবস চিরিরবন্দরে মা ও শিশু সহায়তায়- উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফাতেহা তুজ জোহরা শেরপুরের সীমান্তে অনুপ্রবেশের দায়ে গ্রেফতার -১১ নরসিংদীতে ৩ আন্তঃনগর ট্রেনের যাত্রাবিরতির উদ্বোধন শিক্ষকের বাসায় দোয়া কামনায়- প্রাক্তন ছাত্র কর্ণেল (অব) মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরী এবারের বাজেট ২০২৫-২৬: ন্যূনতম আয়কর ৫ হাজার টাকা,নতুনদের ১ হাজার ঈদুল আজহায় কঠোর নিরাপত্তায় যশোর জেলা পুলিশ বকশীগঞ্জে সাইবার নিরাপত্তা ব্যবস্থা বিষয়ে প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত ঝিনাইদহে বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষে নিহত-১, আহত-৫ এক যুগ পর নিবন্ধন ফিরে পেল জামায়াতে ইসলামী বকশীগঞ্জে সাইবার নিরাপত্তা ব্যবস্থা বিষয়ে প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত

নাগরপুরে মোগল স্থাপত্য সলিমাবাদ তেবাড়িয়া জামে মসজিদ

  • আপডেট সময় : রবিবার, ৩ নভেম্বর, ২০২৪
  • ৯৪ বার পঠিত

নাগরপুরে মোগল স্থাপত্য সলিমাবাদ তেবাড়িয়া জামে মসজিদ

মোঃ আশরাফুল হক বাবু নাগরপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধিঃ মসজিদে দান করলেই পূরণ হয় মনের বাসনা এবং পাশের পুকুরে গিয়ে বলে এলেই ভেসে ওঠে পিতলের থালা-বাসন। এছাড়াও রাতের আঁধারে এতে নামাজ পড়তে আসে জ্বীন’রা! এমন সব আলোচিত ধারণা প্রচলিত আছে টাঙ্গাইলের নাগরপুর উপজেলার সলিমাবাদ  ইউনিয়নের তেবাড়িয়া গ্রামে অবস্থিত প্রায় ৪০০ শত বছরের পুরাতন মসজিদ ঘিরে। মোঘল আমলে নির্মিত এই মসজিদ ঘিরে রয়েছে নানা রহস্য যা যমুনা নদীর ভাঙ্গনে পুরো এলাকা বিলীন হলেও অক্ষত রয়েছে এই অলৌকিক আল্লাহ’র ঘর। নদীর স্রোত আর ঢেউয়ের প্রখরতায় মসজিদটি দোলতে থাকে কিন্তুু ভেঙে যায় না বলে দাবি স্থানীয়দের। মসজিদটির নির্মাণ লগ্ন থেকে একটি দৃষ্টি নন্দন বড় গম্বুজ সহ চার পাশে ছোট-বড় মিলিয়ে মোট ১২ টি মিনার ও উত্তর-দক্ষিন দিকে দুইটি দৃষ্টি নন্দন ঘর রয়েছে। যেখানে বিশ্বাসী জনসাধারণ দাঁড়িয়ে মানত করেন হাঁস-মুরগী এবং গরু-ছাগল থেকে শুরু করে স্বর্ণ সহ নগদ টাকার বিনিময়ে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ইতিহাস-ঐতিহ্য সমৃদ্ধ তেবাড়িয়া জামে মসজিদ প্রবাহমান যমুনা নদীর কোলঘেষে আনুমানিক ১৬০১ খ্রীস্টপূর্বে ২৫৩ শতাংশ জায়গা নিয়ে মৃধা বংশোদ্ভূত আব্দুল মালেক খাঁ মৃধা এই মসজিদ নির্মাণ করেন। যখন এটি নির্মিত হয় তখন মূল ভবনের পাশে একটি বিশাল আকারের জাম গাছে বিভিন্ন দেশ থেকে আগত পণ্যবাহী নৌযান বেধে রাখা হত। তৎকালীন নদী থেকে মসজিদ একটু উচু স্থানে নির্মাণ করা হয়েছিলো, যেখানে সিঁড়ি চড়ে মসজিদে প্রবেশ করা হতো। মসজিদটি নির্মাণ করার পর আব্দুল মালেক খাঁ মৃধা মিম্বারে দাড়িয়ে উপস্তিত মুসল্লিদের উদ্দেশ্যে অছিয়ত করে বলেন, ওনার মৃত্যু যে স্থানে হবে তাকে যেন ওইখানে কবর দেওয়া হয় পরবর্তীতে উনি মিম্বার থেকে নেমে যাওয়ার পর পরই তিনি ইন্তেকাল করেন।

পরবর্তীতে মৃধা বংশোদ্ভূত বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মো. আতিকুর রহমান তালুকদার মসজিদের পশ্চিম দিকের এলাকা থেকে  মোট ৩৭ শতাংশ জমি নিজস্ব অর্থায়নে এবং অত্র এলাকার মৃত মোহাম্মদ আতোয়ার খান ১০ শতাংশ ও মৃত আকাজত খা’র ৬ কন্যাদ্বয় ৬ বিঘা জমি মসজিদের নামে দান করেন। উক্ত জমির উৎপাদিত ফসল বিক্রি করে অর্জিত অর্থ কোষাগারে জমা করা হয়। আরও দেড় বিঘা জমি মোসলেম তালুকদার মসজিদের নামে দান করেছিলেন, যা বিগত কয়েক বছর আগে যমুনা নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যায়।

কথিত আছে, তৎকালীন সময়ে মসজিদের ভিতরে একজন নেককার পরহেজগার ব্যক্তি অবস্থান করতেন উনাকে সবাই পাগল ভাবতেন কিন্তু প্রকৃতপক্ষে উনি একজন আল্লাহর ওলি ছিলেন। মসজিদটি যখন প্রবাহমান যমুনা নদীর গ্রাসে বিলীন হতে ছিল তখন উক্ত ব্যক্তি নদীর উপর দিয়ে হেটে মসজিদের পশ্চিম দিকে অনেক দূর পর্যন্ত চলে যান পরবর্তীতে উনাকে আর খুঁজে পাওয়া যায়নি। তারপর থেকে যমুনা নদী মসজিদ থেকে অনেক দূর পর্যন্ত পশ্চিম দিকে সরে যায়। পরবর্তীতে মসজিদটিতে পর্যায়ক্রমে মুসুল্লিদের নামাজের জন্য সন্মুখভাগে দুইটি ছাদ নির্মাণ করা হয়। নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যাওয়া পূর্বের মিনারটি বর্তমানে মসজিদের উত্তর- পশ্চিম পাশে প্রায় ১০০ ফিট উঁচু করে নির্মাণাধীন আছে। বর্তমানে মসজিদটিতে প্রায় ২,২০০ জন মুসল্লী এক সাথে নামাজ আদায় করতে পারেন । মসজিদ নির্মাণের পর থেকে মৃধা বংশোদ্ভূত সদস্যরা পরিচালনার দায়িত্বে রয়েছেন। বর্তমানে মুতাওয়াল্লীর দায়িত্তে আছেন মৃধা বংশোদ্ভূত বীর মুক্তিযোদ্ধা আ. হাফিজ খান তালুকদার এবং সভাপতি হিসেবে আছেন বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মো. আতিকুর রহমান তালুকদার ।

সলিমাবাদ ইউনিয়নের কৃতি সন্তান সাবেক কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. সুজায়েত হোসেন জানায়,জেলা শহর থেকে প্রায় ৪০ কিলোমিটার দূরবর্তী পল্লী অঞ্চলে মোগল স্থাপওে নির্মিত মসজিদটি ওয়াকফো বোর্ডে অন্তর্ভুক্ত। সঠিক ব্যবস্থাপনায় মুসুল্লিদের চাহিদা অনুযায়ী আধুনিকায়ন সময়ের দাবি।

তেবাড়িয়া জামে মসজিদ পরিচালনা কমিটির সদস্য মো. শরিফ খান তালুকদার বলেন, বর্তমানে মসজিদের আরো বেশ কিছু নির্মাণ পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। যাহা পর্যায়ক্রমে বাস্তবায়ন করা হবে।

মসজিদ কমিটির সভাপতি মো. আতিকুর রহমান মন্টু জানায় দানকৃত জমির পরিমাণ ২৫৩ শতাংশ রয়েছে। জমি দাতার নাম মালেক খান মৃধা। দানকৃত জমি কিছুটা দখলে কম আছে বলেও দাবি করেন তিনি।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরও খবর
© All rights reserved © 2022 Dashani 24
Theme Customized By Shakil IT Park