যোনি হলো মহাবিশ্বে প্রবেশের প্রথম ওয়ার্মহোল যেটির প্রতি পৃথিবীর সকল পুরুষ আকৃষ্ট এটি ব্লাকহোলের মতোই পুরুষের মস্তিষ্ককে আকর্ষণ করে এবং স্থির করে দিতে পারে তাদের বিচার বিবেচনা এবং বোধ।পুরুষতান্ত্রিক সমাজব্যাবস্থার সকল কাব্য এবং সাহিত্য যোনির ভেতরেই আবর্তিত হচ্ছে।গবেষণায় দেখা গেছে একজন পুরুষ প্রতিদিন অন্তত ত্রিশ বার নারীর যোনিকে স্মরণ করে।
শুধুমাত্র এ যোনির জন্যে এত ধর্ষণ, এত খুন আর এত প্রতিযোগীতা।আইনস্টাইনের মতো বিজ্ঞানীদের প্রতিভার মূলেও যোনির প্রতি আকাঙ্খা কাজ করে।নারীর মনে পুরুষ তার শক্তিশালী অবস্থান তৈরি করতে পারলেই কেবল সে নারীর যৌনি পাবে।এ জন্যে অনেক পুরুষ মহাপুরুষ হয়েছে এবং কেউ হয়েছে কাপুরুষ, ধর্ষক।
যোনির প্রতি আকর্ষণ থেকেই পুরুষ মাস্টারবেট করে,সমকামীতা করে এবং অনেক সময় পশুপাখি অথবা জামাকাপড়ের প্রতিও বিকৃত লালসা অনুভব করে, যেটি তাদের জেনেটিক্যাল এক্সপ্রেসন পর্যন্ত পরিবর্তন করে দিচ্ছে, এমন এক সময় আসবে যখন পুরুষ এমনভাবে বিবর্তিত হবে যে বিবর্তিত পুরুষদের পেনিস থাকবেনা!পুরুষের পেনিসটাও নারীদের সৃষ্টি।প্রতি বছর নতুন নতুন এন্টি ভাইরাস প্রয়োগের ফলে যেমন কৃত্রিম নির্বাচনের মাধ্যমে আপডেট ভাইরাস তৈরি হয় ঠিক তেমনি আদিম পূর্ব পুরুষরা যখন বনে জঙ্গলে উলঙ্গ অবস্থায় ভ্রমণ করতো তখন নারীরা সেই সকল পুরুষের সাথেই সেক্স করতো যাদের পেনিস দূর থেকে চোখে পড়ে, আর এভাবেই অপেক্ষাকৃত লম্বা দৈর্ঘের পেনিসের বিবর্তন ঘটে।
আর এভাবেই ক্রমাগত নির্বাচনের মাধ্যমে আধুনিক মানব সভ্যতার সেই বিখ্যাত পেনিস তৈরি হয়েছে।যে পুরুষরা আজ নারীর যৌনাঙ্গ কেটে ধর্ষণ করে তারা হয়তো জানেনা তাদের পেনিস নারীর পর্যবেক্ষণেই বিবর্তিত হয়েছিলো।যাইহোক!যোনি জিনিসটা আসলে কী যার জন্যে পৃথিবীর ৩.৯ বিলিয়ন পুরষ প্রত্যেকটি মুহূর্তে অন্ধ বিবর্তন প্রকৃয়ায় যুদ্ধ করে যাচ্ছে?যোনি সম্পর্কে কী আসলেই এখনো কারো কোনো জ্ঞান আছে?কেউ কী জানে এর গঠন প্রণালি?
মানুষের যোনি সারভিক্স থেকে ভালভা পর্যন্ত বিস্তৃত একটি নমনীয় ও মাংসল নালী। শরীরভেদে পার্থক্য হলেও সাধারণত একটি অনুত্তেজিত যোনির দৈর্ঘ্য সামনের দিকে ৬ থেকে ৬.৫ সে.মি. (২.৫ থেকে ৩ ইঞ্চি) এবং পেছনের দিকে ৯ সে.মি. (৩.৫ ইঞ্চি)।যৌন উত্তেজনার সময় যোনি দৈর্ঘ্য এবং প্রস্থ উভয় দিকেই বৃদ্ধি পায়।এমত নমনীয়তার ফলেই এটি যৌনমিলন ও সন্তান জন্মদানের সময় সম্প্রসারিত হয়।যোনি, সুপারফিকাল ভালভা ও জরায়ুর গভীরের সারভিক্সকে সংযুক্ত করে।
যদি একজন মহিলা সোজা হয়ে দাঁড়ান তবে যোনির শেষপ্রান্ত সামনে-পেছনে জরায়ুর সাথে ৪৫ ডিগ্রীর বেশি কোণ উৎপন্ন করে। যোনির শেষপ্রান্তটি ভালভার একটি কডাল প্রান্ত। এটি মূত্রনালীর পেছনে অবস্থিত। যোনির উপরের এক চতুর্থাংশ রেকটোউটেরিন পাউচ দ্বারা মলাধার থেকে পৃথক। যোনির সদর অংশের নাম মন্স ভেনেরিস। ভালভার ভেতরের দিক সহ যোনির রং হালকা গোলাপী এবং এটি মেরুদণ্ডী প্রাণীতে সবচেয়ে বেশি মিউকাস ঝিল্লী বিশিষ্ট অভ্যন্তরীণ অঙ্গ। যোনির বাকি তিন চতুর্থাংশ অঞ্চল উঁচু-নিচু অংশের দ্বারা সৃষ্ট ভাঁজে পরিপূর্ণ, এই ভাঁজকে রূগী বলে।
যোনির পিচ্ছিলতা বার্থোলিনের গ্রন্থি দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়। এটি যোনির প্রবেশ মুখে এবং সারভিক্সের কাছে অবস্থিত একটি গ্রন্থি। যৌনমিলনের সময় প্রয়োজনীয় পিচ্ছিলকারক তরল ক্ষরিত করার মাধ্যমে এটি লিঙ্গপ্রবেশজ্বনিত ঘর্ষণ হ্রাসে ভূমিকা রাখে। কোনোরকম গ্রন্থির সম্পৃক্ততা না থাকলেও যোনির দেয়াল আর্দ্রতা ছড়ায়। প্রতি মাসে ডিম্বক্ষরণের সময় সারভিক্সের মিউকাস গ্রন্থিগুলো বিভিন্ন রকম মিউকাস ক্ষরণ করে। এর ফলে যোনীয় নালিতে ক্ষারধর্মী অনুকূল পরিবেশ তৈরি হয় এবং এটি যৌনমিলনের মাধ্যমে প্রবিষ্ট পুরুষের শুক্রাণুর বেঁচে থাকার সম্ভাবনা বাড়িয়ে দেয়।
যাইহোক, আমরা যদি যোনির সম্পূর্ণ গঠন প্রকৃতি ব্যাখ্যা করতে যাই তবে ছোট খাটো একটি ব্রিটেনিকা এনসাইক্লোপিডিয়া প্রয়োজন হবে।তাই আমার আলোচনা আমি সংক্ষিপ্ত করছি।আমাদের সমাজে সতিচ্ছেদ নামক একটি ব্যাপার আছে, বিয়ের পূর্বে কারো যদি সতিচ্ছেদ হয় তবে সেই নারীর বিবর্তন প্রকৃয়াটাই সমাজ পরিবর্তন করে দেয়, তাকে প্রতিনিয়ত অপবাদ আর অত্যাচার করতে করতে একটা সময় জেনেটিক্যালি এক্সপ্রেসনই পরিবর্তন করে দেয়।অনেক স্ত্রী প্রাণীতে যোনিচ্ছদ বা সত্বীচ্ছদ যোনির প্রবেশদ্বার ঢেকে রাখে, যতোক্ষণ না এটি যৌনমিলন বা অন্য কোনো কারণে ছিঁড়ে না যায়।
এটি মূলত যোজক কলার একটি পাতলা ঝিল্লী। এটি যোনির শুরুর দিকে অবস্থিত। যোনিপথে কোনোকিছু প্রবেশের ফলে, পেলভিক পরীক্ষার সময়, কোনো কারণে আঘাতপ্রাপ্ত হলে বা কিছু সুনির্দিষ্ট কাজের ফলে, যেমন: ঘোড়ায় চড়া, বা জিমন্যাস্টিক্সের ফলেও এই কলাটি ছিঁড়ে যেতে পারে। যোনিচ্ছদ না থাকাটা যৌনমিলন সংঘটিত হবার ব্যাপারে প্রয়োজনীয় প্রমাণ দেয় না, কারণ সবসময় এটি যে যৌনমিলনের ফলেই ছিঁড়বে—এমন নয়। আবার একই ভাবে বলা যায়, এটি থাকাটা খুব জোরের সাথে প্রমাণ করে না যে যৌনমিলন একেবারেই হয়নি।হালকা যৌনমিলনের ফলে যোনিচ্ছদ না ছেঁড়াটা সম্ভব, আর যদি ছিঁড়েও যায় তবে তা শল্যচিকিৎসার মাধ্যমে প্রতিস্থাপিতও করা সম্ভব। অর্থাৎ নারীর কুমারীত্ত্ব, যোনিচ্ছদ থাকা বা না-থাকার ওপর পুরোপুরি নির্ভর করে না।
এমব্রায়োজেনেসিসের সময় যৌনাঙ্গের বিকাশ শুরু হয়। শিম্পাঞ্জী, হাতি, ম্যানাটি, তিমি ইত্যাদি প্রাণীদের এমব্রায়োজেনেসিসের সময় যৌনাঙ্গের বিকাশ ঘটে আর তাই সেসকল প্রাণীদের মাঝেও সতিচ্ছ্যেদ দেখা যায়।বিয়ের পূর্বে কোন নারীর শরীরের একটি ঝিল্লি ছিড়ে গেলে তার জীবন পর্যন্ত বিনাশ হতে পারে অথচ শিম্পাঞ্জির সতিচ্ছেদ ঘটলে হয়তোবা তাকে মানুষের মতো এত মর্মান্তিকভাবে তার পরিবার হত্যা করেনা অথবা করেনা শারীরিক এবং মানসিক নির্যাতন!একটি ঝিল্লি একজন নারীর সমস্ত জীবনের সকল স্বপ্নকে ছিড়ে দিতে পারে,যদিও যোনির অতি-ক্ষুদ্র নগন্য একটি ঝিল্লি সমাজ অথবা রাষ্ট্রের কোনোই ক্ষতি করেনি!
যোনির শারীরবৃত্তীয় ভূমিকাঃ
জরায়ুজ ক্ষরণ
যোনিপথের মাধ্যমে জরায়ুতে উৎপন্ন রজঃস্রাবের রক্ত ও মৃতটিস্যু (কলা) বেরিয়ে যায়। আধুনিক সমাজে, রজঃস্রাবের মাধ্যমে নির্গত এই তরল শোষণ বা সংগ্রহে ট্যাম্পোন, মেন্সট্রুয়াল কাপ, স্যানিটারি ন্যাপকিন প্রভৃতি সরঞ্জাম ব্যবহৃত হয়।
যৌনমিলন
যোনির প্রবেশমুখে বেশকিছু স্নায়ুর প্রান্তদ্বার উন্মুক্ত, আর এগুলোর মাধ্যমে একজন নারী যৌনমিলনের সময় যৌনসুখ অনুভব করতে পারেন। কোনোভাবে এটি উত্তেজিত হলে কিছু মহিলা এটা উপভোগ করতে পারেন। যৌন উত্তেজনার সময়, বিশেষ করে মাব বা উত্তেজিত হলে যোনির দেয়াল নিজে থেকেই পিচ্ছিল হতে শুরু করে; এর ফলে যৌনমিলনের সময় সৃষ্ট ঘর্ষণ হ্রাস পায়। গবেষণায় দেখা যায় ভগ্নাঙ্কুরের (ক্লাইটোরিস) অংশ যোনি এবং ভালভাতেও বিস্তৃত হতে পারে[৭]।
উত্তেজিত হলে যোনিপথের দৈর্ঘ্য গড়ে প্রায় ৮.৫ সে.মি. (৪ ইঞ্চি) বৃদ্ধি পায়, কিন্তু এই বৃদ্ধি প্রবিষ্ট শিশ্নের চাপের ওপর ভিত্তি করে আরো বাড়তে পারে[৮]। যখন একজন মহিলা পুরোপুরি উত্তেজিত হন তখন সারভিক্স পেছনের দিকে গুটিয়ে যাওয়ায় যোনিগহ্বর দৈর্ঘ্য-প্রস্থে পূর্বের চেয়ে প্রায় দুই-তৃতীয়াংশ বৃদ্ধি পায়[৯]। যোনির অভ্যন্তরীণ গাত্রাবরণ মিউকাস ঝিল্লির নরম ও নমনীয় ভাঁজ বিশিষ্ট। পুরুষের প্রবিষ্ট শিশ্নের আকার অনুযায়ী এটি প্রসারিত বা সঙ্কুচিত হতে পারে।
জি-স্পট
এটি যোনির একটি কামোত্তেজক অংশ। যোনির ভেতর অংশে (শুরুর অংশ থেকে প্রায় পাঁচ সেন্টিমিটার ভিতরে) এর অবস্থান। কিছু মহিলা যৌনমিলনের সময় তীব্র যৌনসুখ অনুভব করেন যদি জি-স্পট ভালোভাবে উত্তেজিত হয়। সম্ভবত জি-স্পট রাগমোচন (শীর্ষসুখ) নারীর বীর্যপাতের কারণ ।বেশ কিছু প্রখ্যাত ডাক্তার ও গবেষক মনে করেন জি-স্পটের যৌনসুখটা আসলে আসে স্কিনি গ্রন্থির মাধ্যমে। এই গ্রন্থিটি যোনির ভেতরের অন্য কোনো অংশের তুলনায় পুরুষের প্রোস্টেটের সাথে বেশি সাদৃশ্যপূর্ণ।অবশ্য কিছু গবেষক জি-স্পট থাকার ব্যাপারটাই স্বীকার করেন না।
ফিজিক্সের সুত্রকে অনুসরণ করে বিবর্তনের মাধ্যমে সম্পূর্ণ জৈব রাসয়নিক প্রকৃয়ায় এমব্রায়োজেনেসিসের সময় নারীর যৌনি বিকাশ লাভ করে অথচ মানব সভ্যতা কিছু রাসায়নিক পদার্থ এবং ফিজিক্সের সুত্রের ইন্টারেকশনে সৃষ্টি ক্ষুদ্র একটি অতি-সাধারণ অঙ্গ নিয়ে বিশাল বিশাল কবিতা,সাহিত্য এবং দর্শন রচনা করেছে।গবেষণায় দেখা গেছে, এদেশের প্রায় ৮০ ভাগ তরুণ নারীকে একটি যোনাঙ্গ মনে করে।
আরও পড়ুনঃ নারীর শখ মিটেনা এক শাড়িতে আর পুরুষের শখ মিটেনা এক নারীতে
উপদেষ্টা:
প্রকাশক: মোছাঃ খাদিজা আক্তার
বিথী
সম্পাদক: আফজাল শরীফ
নির্বাহী সম্পাদক: মোঃ হারুন-অর-রশিদ
বার্তা সম্পাদক: মোঃ আমিনুল ইসলাম বাহার
সহকারী বার্তা সম্পাদক: মুহাম্মাদ লিটন ইসলাম
বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়:
বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক সংলগ্ন জব্বারগঞ্জ বাজার,
বকশীগঞ্জ, জামালপুর
Copyright © 2025 দশানী ২৪. All rights reserved.