মোহাম্মদ দুদু মল্লিক শেরপুর প্রতিনিধি।
শহরের নারায়নপুর এলাকায় জেলা হাসপাতালের সামনে এ্যাপোলো ডায়াগনস্টিক সেন্টার এর মালিক সুজন (উরফে জিয়া) ডাক্তার সেজে নিজেই শিশু রুমান(৭)নামের এক রোগীর হাড় ভাংগা চিকিৎসার নামে প্রতারণার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
দীর্ঘ দিনেও রুমানের হাত ভাল হয়নি।পুঙ্গু হতে বসেছে রুমান।এনিয়ে ভুক্তভোগী রুমানের নানী খোদেজা বেগম সিভিল সার্জনের কাছে বিচার চেয়ে লিখিত আবেদন করেছেন।
খোদেজার বাড়ী নকলা উপজেলার চরাঞ্চলে।
ভুক্তভোগী রোগীর নানী খোদেজার অভিযোগ গত ১৪ জানুয়ারী বিকালের দিকে রুমান (৭) খেলতে গিয়ে হাত ভেঙ্গে ফেলে।
একজন লোকের পরামর্শে রাত ১০টার দিকে সার্জরি ডাক্তার আকলেছুর রহমান খান তুহিনকে দেখাতে এ্যাপোলো ডায়াগনস্টিক সেন্টারে আসি।ডাঃ তুহিনকে দিয়ে আমার নাতির চিকিৎসা করাতে চাইলে ডাক্তারের চেয়ারে বসে থাকা ওই সুজন নিজেকে ডাক্তার তুহিন পরিচয় দিয়ে নাতির চিকিৎসার করেন।
চিকিৎসার সময় সুজন অপর এক সহযোগীকে ডাকেন।ওই সহযোগীই আমার নাতির ভাঙ্গা হাতে প্লাষ্টার ও তুহিন ডাক্তারের প্যাডে ব্যবস্থা পত্র লিখে দেন।নাতিকে বাড়ীতে নিয়ে আসি কিন্ত চার সপ্তাহ পাড় হয়ে গেলেও ব্যাথা না কমায় সদর হাসপাতালের হাড়ের ডাক্তার আরিফের কাছে যাই।
ডাক্তার এক্সরে করে দেখেন আমার নাতির হাতের অবস্থা আরও অবনতি হয়েছে এবং জরুরীভাবে অপারেশন করার জন্য ময়মনসিংহ সদর হাসপাতালে যাওয়ার পরামর্শ দেন।পরে ওই ডায়াগনস্টিক সেন্টারের ডাক্তার তুহিনের স্বরণাপন্ন হয়ে জানতে পারি নাতির চিকিৎসা করা ডাক্তার আর তুহিন ডাক্তার এক ব্যাক্তি নয় ।
ডাক্তার সেজে চিকিৎসা করেছেন ডায়াগনস্টিক সিন্টার মালিক সুজন এবং তার সহকারী হাসপাতালের ফার্মাসিষ্ট তরুনী কান্ত সরকার।এই প্রতারণার প্রতিবাদ করলে সুজন এলাকা ছাড়া করাসহ মামলা করার হুমকি এবং প্রাণনাশের ভয় দেখান ।
অসুস্থ নাতিকে নিয়ে ঢাকা ময়মনসিংহ দৌড়াদোড়ীতে অভিযোগ দিতে দেরী হলো।রুমানের বাবা নেই,তিনি একজন পোষাক শ্রমিক।
আমারা গরিব মানুষ ,ভুল চিকিৎসায় রুমান পুঙ্গ হতে বসেছে। ভাল হতে বড়সর অপারেশন করতে হবে ,লক্ষাধিক টাকা লাগবে বলে চিকিৎসক জানিয়েছে।হাসপাতাল এলাকার নানা সূত্র জানিয়েছে অভিযুক্ত এই সুজনের নামে অভিযোগের শেষ নেই।বড় ডাক্তার সেজে নীরিহ মানুষদের সাথে দীর্ঘ দিন ধরে নানান রকম প্রতারণা করে আসছেন এই সুজন।
এই নিয়ে অনেক বিচার সালিশ পর্যন্ত হয়েছে।কিন্ত সুজন থামে নি।
এ্যাপোলো ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মালিক অভিযুক্ত সুজনের দাবী তিনি কিছুই জানেন না। রোগীকে তিনি এর আগে কোনদিন দেখেননি।
বদনাম রটানোর জন্য এক শ্রেণীর লোক এসব করছে।ডাক্তার তুহিনের দাবী ব্যবস্থাপত্রের প্যাড তার তবে লেখা তার নয়।কেউ অসৎ উদ্দেশ্যে এসব করছেন।আর ব্যবস্থা পত্রের হাতের লেখা দেখে ডাঃতুহিন নিশ্চিত করেন লিখা ফার্মাসিস্ট তরুণী কান্তি সাহার হাতের লেখা।
ডাঃ তুহিন এই প্রতারণাকে ভয়ংকর অপরাধ বলে অপরাধিদের আইনের আওতায় আনার অনুরোধ করেন। তিরি কিছুই জানেন না লেখাও তার নয় এমন দাবী ফার্মাসিস্ট তরুনীর।সিভিল সার্জন ডাঃ অনুপম ভট্রাচার্য বলেন, এ বিষয়ে একটি অভিযোগ পেয়েছি।
স্বাস্থ্য প্রশাসন ও বিশেষজ্ঞ ডাক্তার মিলেয়ে তিন সদস্য বিশিষ্ঠ কমিটি করা হয়েছে।
১৫ দিনের মধ্যে রিপোর্ট দিতে কমিটিকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।আগামি ১১ মার্চ স্বাক্ষ্য প্রমাণ গ্রহন করা হয়েছে।
আরও পড়ুন রাণীশংকৈলের লেহেম্বা ইউনিয়নকে ঝুকিপুর্ন শিশুশ্রম মুক্ত ঘোষনা
উপদেষ্টা:
প্রকাশক: মোছাঃ খাদিজা আক্তার
বিথী
সম্পাদক: আফজাল শরীফ
নির্বাহী সম্পাদক: মোঃ হারুন-অর-রশিদ
বার্তা সম্পাদক: মোঃ আমিনুল ইসলাম বাহার
সহকারী বার্তা সম্পাদক: মুহাম্মাদ লিটন ইসলাম
বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়:
বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক সংলগ্ন জব্বারগঞ্জ বাজার,
বকশীগঞ্জ, জামালপুর
Copyright © 2025 দশানী ২৪. All rights reserved.