সানন্দবাড়ী থেকে রশীদুল আলম শিকদার ॥ আজ ৬ডিসেম্বর মঙ্গলবার জামালপুর জেলার দেওয়ানগঞ্জ উপজেলা গুরুত্বপূর্ণ সড়কপথে পাক-হানাদার মুক্ত দিবস পালনে র্যালী ও আলোচনা সভা করেন উপজেলা প্রশাসন। এসময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কামরুন্নাহার শেফা,
কম্পানী কমান্ডার খাইরুল ইসলাম,দেওয়ানগঞ্জ মডেল থানার পুলিশ কর্মকর্তা শ্যামল চন্দ ধর, মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার শামসুল হক, দেওয়ানগঞ্জ প্রেসক্লাব সভাপতি আরকে এলান ও সাধারণ সম্পাদক মোদন মোহন ঘোষ সহ শত শত সচেতন মানুষ।
১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে জামালপুর জেলার দেওয়ানগঞ্জ উপজেলা ছিলো ১১নং সেক্টরের অধীনে।
দেওয়ানগঞ্জের বাহাদুরাবাদ ঘাট পাক- হানাদার বাহিনীর শক্ত ঘাটি ছিলো। বকশীগঞ্জের ধানুয়া কামালপুর মুক্ত হওয়ায় চাঙ্গা হয়ে উঠে মুক্তিযোদ্ধারা। মুক্তিযোদ্ধারা পরিকল্পনা করেন দেওয়ানগঞ্জের বাহাদুরাবাদ ঘাটে হামলা করে পাকহানাদার বাহিনীকে পরাজিত করতে হবে। বাহাদুরাবাদ ঘাটে পাকাহানাদার বাহিনীর পতন হলেই মুক্ত হবে দেওয়ানগঞ্জ উপজেলা মাটি।
পরিকল্পনা মাফিক ৬ডিসেম্বর ভোরে গাজী নাছির কোম্পানির প্লাটুন কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল কাদের এর নেতৃত্বে হামলা শুরু হয়। তীব্র আক্রমনে ফলে পাক হানাদার বাহিনী দেওয়ানগঞ্জ উপজেলা থেকে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়।
এব্যাপারে কম্পানী কমান্ডার খাইরুল ইসলাম পাক হানাদার বাহিনী পালিয়ে যাওয়ার পর ৬ ডিসেম্বর জিলবাংলা চিনিকল, দেওয়ানগঞ্জ কো-অপারেটিভ হাইস্কুল ও একেএম কলেজে মুক্তিযোদ্ধাদের সঙ্গে নিয়ে স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলন করেন।
লাল সবুজের পতাকা উঠার পরেই বিজয় উৎসব শুরু হয় দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার ঘরে ঘরে ।
উপদেষ্টা:
প্রকাশক: মোছাঃ খাজিদা আক্তার
বিথী
সম্পাদক: আফজাল শরীফ
নির্বাহী সম্পাদক: মোঃ হারুন-অর-রশিদ
বার্তা সম্পাদক: মোঃ হাসিম মিয়া
(টিটু)
সহকারী বার্তা সম্পাদক:
বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়:
বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক সংলগ্ন জব্বারগঞ্জ বাজার,
বকশীগঞ্জ, জামালপুর
Copyright © 2024 দশানী ২৪. All rights reserved.