মোহাম্মদ দুদু মল্লিক ঝিনাইগাতী শেরপুর প্রতিনিধি ।
ধর্ষণ মামলা ধামাচাঁপা দিতে এবং স্বাক্ষীদের ফাঁসাতে অভিনব কায়দায় বিবাদীর রান্না ঘরে নিজেরাই আগুন ধরিয়ে দিয়ে আদালতে মিথ্যা মামলা দায়ের করার অভিযোগ করেছেন ধর্ষণ মামলার বাদী মোছা. সরুফা বেগম(৩৫) নামের দরিদ্র ও অসহায় এক নারী।
ঘটনাটি ঘটেছে শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলার ধানশাইল ইউনিয়নের দাড়িয়ারপাড় নয়াপাড়া গ্রামে। আদালতে সরুফার দায়ের করা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল, শেরপুর, পিটিশন নং-৩৯৫, তারিখ- ১৯/০৭/২০২২খ্রি: সুত্রে জানা যায়, গত ২৬ জুন/২২ তারিখ সকাল আনুমানিক ১০-১১ ঘটিকার সময় সরুফা তার পিতার অসুস্থতার সংবাদ শুনে স্বামীর বাড়ী দাড়িয়ারপাড় নয়াপাড়া থেকে পিতার বাড়ী পাগলারমুখ বাজারে যাওয়ার উদ্দেশে রওনা হয়।
সরুফা স্থানীয় ফজুর মোড় এলাকায় পৌঁছা মাত্রই একই গ্রামের মৃত রেনু মিয়ার ছেলে আতাহার আলী ওরফে জাজ্জু(৩৮), আলীর ছেলে খলিলুর রহমান, হাসেম আলীর ছেলে আইজল হক, মৃত মজিবর সরকারের ছেলে আবেদ আলীর সহায়তায় খুনের ভয় দেখিয়ে জোরপূর্বক অটো রিক্সায় উঠিয়ে প্রতাবনগর গ্রামের জৈনক জালাল উদ্দিনের বাঁশ ঝাড়ে নিয়ে ধর্ষণ করে।
ধর্ষণের পর জাজ্জু সরুফাকে জিম্মি করে ঢাকার গাজিপুরের বড় বাড়ী নামক স্থানে জৈনক বিল্লালের ভাড়া বাসায় আটক রেখে ১০/১২ দিন সরুফার ইচ্ছার বিরুদ্ধে প্রতিনিয়ত ধর্ষণ করে।
এ সময়ে অন্যান্য সহযোগীরা পালিয়ে গ্রামে চলে আসে। সরুফার স্বামী সাইফুল ইসলাম উক্ত বিষয়ে গ্রামে সালিশ দরবারে সহযোগীদের চাঁপ প্রয়োগ করিলে তারা সরুফাকে ফেরত দেয়ার অঙ্গীকার করে।
এমন সংবাদে ঢাকা থেকে পালিয়ে আসে জাজ্জু। সেই সুযোগে সরুফা বেগমও আবদ্ধ ঘর থেকে জীবন রক্ষার্থে দরজা ভেঙ্গে পালিয়ে আসে স্বামীর কাছে।
এ নিয়ে গ্রামের কিছু সুবিধাভোগী বাটপারেরা ঘটনাটি ধামাচাঁপা দিতে সক্রীয় হয়ে উঠে। সমাধান না পেয়ে পরিশেষে বাধ্য হয়ে সরুফা এলাকার সুধীজনের পরামর্শে ও সহযোগীতায় আদালতে ধর্ষণ মামলা করে।এ মামলা দায়েরকে কেন্দ্র করে উক্ত মামলার স্বাক্ষী ও বাদী পক্ষের লোকজনকে শায়েস্তা করা সহ মামলাটিকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করতে ধর্ষণ মামলার ১ নং আসামী মো. আজাহার আলী জাজ্জু পরিকল্পিত ভাবে গত ২১জুলাই বৃহস্পতিবার সকাল আনুমানিক ৬ ঘটিকার সময় নিজের রান্না ঘরে নিজেই আগুন ধরিয়ে দিয়ে ঝিনাইগাতী থানায় ফোন করে।
এমন সংবাদের প্রেক্ষিতে ওসি মনিরুল আলম ভুইয়ার নির্দেশে এসআই ফরিদ উদ্দিন সঙ্গীয় পুলিশ নিয়ে ছুটে যান ঘটনাস্থলে।
পরিদর্শনে যান স্থানীয় সাংবাদিক। এ ঘটনার কোন সত্যতা না পেয়ে অভিযোগ নেয়নি থানা পুলিশ। কিন্তু ধর্ষণ মামলার আসামী জাজ্জু থানা পুলিশের কাছে কোন সুবিধা না পেয়ে নিজেই বাদী হয়ে ঝিনাইগাতী সিআর আমলী আদালতে সি আর মো: নং- ১৮২/২২ এ আনসার আলী, মিষ্টার আলী, দুলাল মিয়া, ছিদ্দিক, মাহা আলী, আয়নাল, সুমন ও মুনতাজ আলী সহ ৮ ব্যক্তির নামে ১৪৮/৪৪৭/৩২৩/৩০৭/৩৮০/৪৩৬/৫০৬(11)৩৪ ধারা মোতাবেক একটি মামলা দায়ের করে।
মহামান্য আদালত উক্ত মামলাটি ওসি, ঝিনাইগাতীকে তদন্তপূর্বক আগামী ১৩ সেপ্টেম্বর/২২ তারিখে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ প্রদান করেছেন। জাজ্জু নিজের অপরাধ ঢাকতে এবং প্রতিবাদি ও ধর্ষণ মামলার স্বাক্ষীদের বিরুদ্ধে এমন মিথ্যা মামলা দায়ের করায় ফুঁসে উঠেছে এলাকার শান্তিপ্রিয় জনতা।
এ ব্যাপারে ধর্ষিতা সরুফার সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, "আমি ও আমার স্বামী গরীব বলেই আমাকে ধর্ষণ করতে জাজ্জু সাহস পেয়েছে। আমি সমাজের কাছে বিচার না পেয়ে আদালতে গিয়েছি।
যাহারা আমাকে সহযোগীতা করতেছে, জাজ্জু তাহাদের নামে মিথ্যা মামলা দিয়েছে। আমি এর ন্যায় বিচার চাই।"অপর দিকে আতাহার আলী ওরফে জাজ্জু বলেন, " আমার বিরুদ্ধে আনিত সকল অভিযোগ মিথ্যা।
এ ব্যাপারে ঝিনাইগাতী থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি) মো. মনিরুল আলম ভুইয়া জানান, আদালত কর্তৃক এখনো কোন পত্র পাইনি।
পত্র পাওয়ার পর সত্যতার আলোকে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করা হবে।
আরও পড়ুন ইসলামপুরে বিভাগীয় কমিশনারের মতবিনিময় সভা
উপদেষ্টা:
প্রকাশক: মোছাঃ খাদিজা আক্তার
বিথী
সম্পাদক: আফজাল শরীফ
নির্বাহী সম্পাদক: মোঃ হারুন-অর-রশিদ
বার্তা সম্পাদক: মোঃ আমিনুল ইসলাম বাহার
সহকারী বার্তা সম্পাদক: মুহাম্মাদ লিটন ইসলাম
বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়:
বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক সংলগ্ন জব্বারগঞ্জ বাজার,
বকশীগঞ্জ, জামালপুর
Copyright © 2025 দশানী ২৪. All rights reserved.