আল কাদরি কিবরিয়া সবুজ, স্টাফ রিপোর্টারঃ-
গাইবান্ধা-৫ (সাঘাটা-ফুলছড়ি) আসনের মাটি ও মানুষের নেতা প্রধানমন্ত্রীর আস্থাবাজন এবং আইন অঙ্গন থেকে শুরু করে সকলের প্রিয় মুখ মরহুম অ্যাড. ফজলে রাব্বী মিয়ার সুযোগ্য কন্যা ফারজানা রাব্বী বুবলীকে উপনির্বাচনে এমপি দেখতে চান তৃণমূলের নেতাকর্মীসহ এলাকাবাসী।
গাইবান্ধা-৫ আসন থেকে মরহুম অ্যাড. ফজলে রাব্বী মিয়া চতুর্থ, পঞ্চম, ষষ্ঠ, সপ্তম, নবম, দশম এবং একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়ে বিপুল ভোটে বিজয় লাভ করেন।
পরে তাকে ডেপুটি স্পিকারের দায়িত্ব দেয়া হয় এবং তিনি সুনামের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগেএর কার্যনির্বাহী সদস্য।
তার দলের প্রতি ভালোবাসা, ত্যাগ এবং জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শে কাজ করার জন্য তিনি ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর বিশ্বস্ত এবং আস্থাভাজন।
অ্যাড. ফজলে রাব্বী মিয়া গত ২৩ জুলাই বাংলাদেশ সময় রাত ২টায় আমেরিকার নিউইয়র্ক মাউন্ট সিনাই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করায় আসনটি শূন্য হয়।
নির্বাচন কমিশনের নিয়ম অনুযায়ী শূন্য আসনে ৯০ দিনের মধ্যে উপ-নির্বাচন করতে হবে। যদি কোনো জটিলতা হয় তাহলে ১৮০ দিনের মধ্যে নির্বাচন করতে হবে।
বাংলাদেশের জাতীয় সংসদের ৩০০টি নির্বাচনী এলাকার মধ্যে গাইবান্ধা-৫ সংসদীয় আসন অন্যতম ও গুরুত্বপূর্ণ আসন। এটি গাইবান্ধা শহরের নিকটে অবস্থিত জাতীয় সংসদের ৩৩নং আসন।
ফুলছড়ি উপজেলার সাতটি ও সাঘাটা উপজেলার নয়টি ইউনিয়ন নিয়ে গাইবান্ধা-৫ সংসদীয় আসন।
দলীয় সূত্রে জানা যায়, ব্যক্তিগতভাবে অ্যাড. ফজলে রাব্বী মিয়া আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার খুবই কাছের ও আস্থাবাজন ছিলেন।
ফলে দশম ও একাদশ সংসদ নির্বাচনে দলে একাধিক মনোনয়ন প্রত্যাশী থাকলেও প্রধানমন্ত্রী অ্যাড. ফজলে রাব্বি মিয়াকে মনোনয়ন দেন এবং তিনি বিপুল ভোটে বিজয়লাভ করেন।
অ্যাড. ফজলে রাব্বী মিয়ার সুযোগ্য কন্যা ফারজানা রাব্বি বুবলী বলেন, আমার বাবা ফজলে রাব্বী মিয়া গাইবান্ধা জেলার সাঘাটা উপজেলার গটিয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি বিএ এবং এলএলবি ডিগ্রি আর্জন করেন।
তিনি ফুলছড়ি-সাঘাটা হতে টানা ৭ বার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। এছাড়াও তিনি বাংলাদেশ সুপ্রিমকোর্টের একজন আইনজীবী হিসেবে তার কর্মজীবন শুরু করেন। ফজলে রাব্বী মিয়া ছাত্রজীবনেই রাজনীতিতে যুক্ত হন।
তিনি বাংলাদেশ সরকারের প্রথম দুই মেয়াদে ডেপুটি স্পিকার নির্বাচিত হয়েছিলেন। তিনি আরও বলেন, বাবা দেশের ও জনগণের জন্য আজীবন কাজ করে গেছেন।
তিনি আমাকে ছোটবেলা থেকে আজ পর্যন্ত তার আদর্শে বড় করেছেন। আমার জীবনের সবকিছু বাবার দেখানো পথে হয়েছে। তিনি সব সময় আমাকে ফুলছড়ি-সাঘাটার মানুষকে ভালোবাসতে বলতেন, আগলে রাখতে বলতেন।
জানা যায়, গাইবান্ধা ৫ আসনের উপনির্বাচনে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগসহ সহযোগী সংগঠনের তৃণমূল নেতাকর্মীদের সমর্থনে এগিয়ে আছেন ফারজানা রাব্বি বুবলী। তিনি বলেন, আমার বাবা অ্যাড. ফজলে রাব্বী কন্যা হিসাবে আমার বাবার স্বপ্ন পুরন এবং বাবার রেখে যাওয়া অসমাপ্ত কাজগুলো সমাপ্ত করতে চাই।
জাতীর জনক বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার উন্নয়নের ধারাকে অভ্যাহত রাখতে সকল নেতাকর্মী ও সর্বস্তরের জনগনের পাশে থাকতে চাই। তৃৃৃণমূল নেতাকর্মীর সমর্থনে এগিয়ে যাচ্ছি।
তবে দল যদি আমাকে সমর্থন করে তাহলেই আমি উপনির্বাচনে অংশগ্রহণ করব।
সাঘাটা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নাছিরুল আলম স্বপন ও ফুলছড়ি উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুল হাসান সুজাসহ অন্যান্য সহযোগী সংগঠনের অনেক তৃণমূল নেতাকর্মী বলেন, এ আসনে ফারজানা রাব্বী বুবলী সংসদ সদস্য হলে এলাকার সাধারণ মানুষ বেশি উপকৃত হবে।
স্থানীয় নেতাকর্মীদের মতে, এ আসনের এলাকাগুলোর মধ্যে নদীভাঙনের ফলে পিছিয়ে থাকা এলাকার মধ্যে অন্যতম।
উন্নয়নের সমন্বয়ের স্বার্থে আসনটিতে অ্যাড. ফজলে রাব্বী মিয়ার উত্তরসূরি হিসেবে ফারজানা রাব্বী বুবলী সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়া গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করেন এলাকাবাসী।
আরও পড়ুন ঝিনাইগাতীতে ১২৫০ মিটার চায়না দুয়ারী কারেন্ট জাল জব্দ।
উপদেষ্টা:
প্রকাশক: মোছাঃ খাদিজা আক্তার
বিথী
সম্পাদক: আফজাল শরীফ
নির্বাহী সম্পাদক: মোঃ হারুন-অর-রশিদ
বার্তা সম্পাদক: মোঃ আমিনুল ইসলাম বাহার
সহকারী বার্তা সম্পাদক: মুহাম্মাদ লিটন ইসলাম
বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়:
বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক সংলগ্ন জব্বারগঞ্জ বাজার,
বকশীগঞ্জ, জামালপুর
Copyright © 2025 দশানী ২৪. All rights reserved.